দেশজুড়ে

কালকিনিতে চিকিৎসকের অবহেলায় গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ

মাদারীপুরের কালকিনিতে চিকিৎসকের অবহেলায় শ্রাবণী আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

শ্রাবণী আক্তার উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের মোল্লারহাট গ্রামের ইউনুস হাওলাদারের স্ত্রী।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ২২ সেপ্টেম্বর সকালে শ্রাবণী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে ওই গৃহবধূর আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক জিএম রিয়াজ রহমান ওই গৃহবধূর পেটের বাচ্চা মারা গেছে বলে জানান। পরে তার পরামর্শ অনুযায়ী স্থানীয় মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করা হয়। পরে ওই ক্লিনিকে ডা. জিএম রিয়াজ রহমান অপারেশন করে শ্রাবণীর পেটের মারা বাচ্চা বের করেন। সেখানে পাঁচদিন থাকার পর ওই গৃহবধূকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। গৃহবধূ বাড়িতে গেলে পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠান। তার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২দিন পর ওই গৃহবধূ মারা যান।

নিহতের স্বামী ইউনুস অভিযোগ করে বলেন, মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ক্লিনিকে শ্রাবণীকে অপারেশন করেন ডা. জিএম রিয়াজ রহমান। তার অবহেলায় আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি ওই চিকিৎসকের বিচার চাই।

এ বিষয়ে ডা. জিএম রিয়াজ রহমান বলেন, ওই গৃহবধূকে আমি মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ক্লিনিকে অপারেশন করেছি। এরপর তিনি আর কোনো উত্তর দেননি।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএইচ/এএসএম