দেশজুড়ে

বাঁচতে চায় চার বছরের রুকাইয়া

সাতক্ষীরার কলারোয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশে অস্থায়ী ছোট্ট একটি দোকানে চায়ের ব্যবসা করেন মাসুদুর রহমান রাজু ও তার বাবা শহিদুল ইসলাম। বসবাসের মতো নিজস্ব কোন জায়গা-জমি নেই তার।

পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন কলারোয়া পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের তুলসীডাঙ্গা গ্রামে। বাবা-মা, স্ত্রী, ৯ বছর বয়সী ছেলে ও সাড়ে চার বছরের ছোট্ট মেয়ে রুকাইয়া সুলতানাকে নিয়ে সুখে সংসার ছিল হতদরিদ্র রাজুর ৷

কিন্তু নিয়তির নির্মমতায় রুকাইয়া হঠাৎ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ায় পরিবারটি এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। শিশুটির জন্য চিকিৎসা সহায়তা পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে পুরো পরিবার।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আড়াই বছর বয়স থেকে কিডনি ও লিভারের জটিল রোগে ভুগছে রুকাইয়া। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বর্তমানে শিশুটি রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

রুকাইয়ার মা রুপালী খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, মেয়ের যখন কিডনি ও লিভারের সমস্যা ধরা পড়ে তখন থেকেই তার চিকিৎসা ও পৃথক খাদ্যাভ্যাসের পিছনে প্রতিদিন বাড়তি খরচ হচ্ছে এক হাজার টাকা।

কিন্তু আমর স্বামী ও শশুরের চায়ের দোকান থেকে দৈনিক আয় হয় মাত্র ৮০০ টাকা। প্রতিদিনের সংসার খরচ ও প্রতিমাসে মাসে এক হাজার টাকা ঘর ভাড়া ঘাটতি পড়ে যেতো।

পরে এলাকার মানুষের সহযোগিতা নিয়ে কোনো রকমে মেয়েটির চিকিৎসা শুরু করেছিলাম। এখন আমার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসার খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ওর জন্য সবার কাছে সহযোগিতা চাইছি।

শিশুটির বাবা মাসুদুর রহমান রাজু জাগো নিউজকে বলেন, চোখের সামনে সন্তানের এমন কষ্ট দেখে হৃদয় কেঁপে উঠছে। কোনো মা-বাবা কখনোই চান না, চোখের সামনে চিকিৎসার অভাবে তাদের সন্তান ছটফট করুক। দেশের ও প্রবাসী সব দয়াবান ব্যক্তি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অসুস্থ শিশুটির জন্য সহযোগিতা কামনা করছি।

রুকাইয়ার বিষয়ে সার্বিক খোঁজ-খবর নিতে ও অর্থসহায়তা পাঠানোর জন্য বাবার ০১৮৩৮৬৭৩৬৩৭ ও মায়ের ০১৩২০৪৭৬৩১১ (নগদ অ্যাকাউন্ট) নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।

আহসানুর রহমান রাজীব/এসএএইচ/এএসএম