দেশজুড়ে

আনন্দ পেতে ১ হাজার গাছে কমলা চাষ!

টিলার পরে টিলা। চোখ জুড়ানো সবুজ চা বাগান। সে বাগানেরই বুক জুড়ে ‘কমলা বাড়ি’। নাম ‘কমলা বাড়ি’ হলেও এটি আসলে কোনো বাড়ি নয়। সারি সারি কমলার গাছ লাগানো হয়েছে বলে এক টিলার নাম দেওয়া হয়েছে কমলা বাড়ি। ওই টিলা কমলা বাড়ি নামেই সবার কাছে পরিচিত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চা বাগানের বাইরে থাকা টিলায় কমলা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার লুয়াইনি চা বাগানে দেখা গেছে, বাগানের ৪ নম্বর সেকশনের ২২ একর ভূমির এক টিলায় রয়েছে কমলার বাগান। সবুজ গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে পাকা ও আধাপাকা কমলা ঝুলে আছে। মৌলভীবাজারে চা বাগানে এটিই প্রথম কমলা চাষ।

শ্রমিকরা জানান দুই বছর ধরে কমলা বাড়িতে গাছে কমলা আসতে শুরু করেছে। বাগান কর্তৃপক্ষ তেমন খেয়াল করেন না। পাকা কমলা বানর ও বুনো শুকরে নষ্ট করে। তারা যত্নশীল হলে কমলা বিক্রি করে বাগানের আয় বৃদ্ধি করা যেতো।

এ নিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা নতুন করে ২২ একর টিলা ভূমিতে কমলা চাষ করেছেন বিষমুক্ত ফল উৎপাদনের জন্য। এখনো বাণিজ্যিক চিন্তা করা হয়নি।

বাগানে কর্মরত চা শ্রমিক জগন্নাত রাজভর, সঞ্জিব পাশি ও মুন্নি পাশি জাগো নিউজকে বলেন, বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কমলা চাষ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ যত্নশীল হলে কমলা চাষ লাভজনক হতে পারতো। প্রজাপতি কমলার গায়ে বসলে কমলা ঝরে পড়ে। এছাড়া বুনো শুকর, বানর কমলা নষ্ট করে ফেলে।

বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক মাবুদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, নিজ হাতে গাছ থেকে বিষমুক্ত ফল খাওয়ার আশায় আমরা পরীক্ষামূলক কমলা চাষ করেছি। এখানে প্রচুর কমলা এসেছে। এখনো বানিজ্যিক চিন্তা করা যাচ্ছে না। মালিকপক্ষের লোকজন আসলে তারা দেখে আনন্দ পায়। আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য ওই টিলার নাম দেওয়া হয়েছে কমলা বাড়ি। এখানে ২২ একর ভূমিতে ১ হাজার কমলার গাছ লাগানো হয়েছে। দেশীয় জাতের চারা আনা হয়েছে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা থেকে। বারি জাতের কিছু চারা আনা হয় নার্সারি থেকে।

মৌলভীবাজার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন বলেন, আমার জানা মতে মৌলভীবাজার জেলার আর কোনো চা বাগানে কমলা চাষ করা হয়নি। ওই বাগানে একজন কৃষিবিদ রয়েছেন। তার চেষ্টায় এখানে কমলা চাষ হয়েছে। বাগানে কমলা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে।

আব্দুল আজিজ/এমএইচআর/জিকেএস