দেশজুড়ে

খুলনার পরিবহন ধর্মঘটে পর্যটক কমেছে কুয়াকাটায়

খুলনার পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাবে কুয়াকাটায় প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যটক কমেছে বলে জানা গেছে। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের মাঝে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) এমন তথ্য জানিয়েছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহসহ ওই অঞ্চলের জেলাগুলো থেকে কুয়াকাটায় প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যটক আসেন। তাদের মধ্যে খুলনা হয়ে বেশিরভাগ পর্যটক আসেন। শুক্রবার খুলনায় পরিবহন ধর্মঘট থাকায় কুয়াকাটায় এখন পর্যটক কম। তবে ধর্মঘট তুলে নিলে আবার পর্যটকদের আগমন বাড়বে বলে আশা করছি।

শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকাটায় পর্যটক উপস্থিতি ছিল খুবই সামান্য। সৈকতে খুব অল্প কিছু পর্যটককে ঘুরতে দেখা গেছে। এছাড়া হোটেল-মোটেলও খোঁজ নিয়ে খুব অল্প সংখ্যক পর্যটক কক্ষ ভাড়া নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, পর্যটক না আসায় সৈকত এলাকার দোকানপাট ও হোটেল রেস্তোরাঁয় বেচাকেনা হচ্ছে খুবই কম।

কুয়াকাটা সৈকতে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক মহিউদ্দিন বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রতি শুক্রবারসহ বন্ধের দিনগুলোতে উপচেপড়া ভিড় থাকে। কিন্তু গতকাল (শুক্রবার) ও আজ (শনিবার) কুয়াকাটায় পর্যটক খুবই কম। খুলনার পরিবহন ধর্মঘটের কারণে হয়তো পর্যটকের এই ভাটা।

কুয়াকাটা পরিবহন কাউন্টার ইনচার্জ সমিতির সভাপতি ইব্রাহিম হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, খুলনা রুট থেকে কুয়াকাটায় প্রতিদিন ২০-২৫টি বাস আসা-যাওয়া করে। তবে শুক্রবার সবগুলো বাস বন্ধ ছিল। আর যে বাসগুলো কুয়াকাটা-খুলনা রুটে চলাচল করে তাতে বেশিরভাগই পর্যটকরা চলাচল করেন। যে কারণে ওই এলাকার কোনো পর্যটক কুয়াকাটায় আসতে পারেননি।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এমআরআর/এমএস