দেশজুড়ে

দগ্ধ স্বামী-সন্তানের পর মারা গেলেন গৃহবধূও

মানিকগঞ্জে ফ্ল্যাট বাসায় গ্যাস বিস্ফোরণে আহত সোনিয়া আক্তার (৩০) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনসিস্টটিউটে তিনি মারা যান।

এর আগে ২৬ অক্টোবর তার স্বামী রাশেদুল ইসলাম (২৮) ও ৩১ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থা তার ছেলে সিফাত (৩) মারা গেছেন। এ ঘটনায় ফারুক হোসেন (২৬) নামের একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রাশেদুল ইসলামের বড় ভাই মো. রসুলদী জানান, অগ্নিদগ্ধ হয়ে আমার ভাইসহ তার স্ত্রী-সন্তান নিহত হয়েছেন। এছাড়া তাদের কর্মচারী ফারুক গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়রা জানান, মানিকগঞ্জে পৌরসভার নারাঙ্গাই এলাকায় মাংসের ব্যবসা (কসাই) করতেন রাশেদুল ইসলাম। ওই এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন। ২৫ অক্টোবর সোমবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালা বন্ধ করে একটি কক্ষে রাশেদুল ও মাংসের দোকানের কর্মচারী ফারুক হোসেন (২৬) ও অপর কক্ষে রাশেদুলের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০) ও তাদের সন্তান রিফাত ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর ৪টার দিকে রাশেদুল ঘুম থেকে ওঠে দোকানে যাওয়ার সময় কর্মচারী ফারুকে ডেকে উঠান।

এরপর রাশেদুল সিগারেটে আগুন ধরানোর জন্য দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর পরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ) হয়। এ সময় ফ্ল্যাটের একটি কক্ষের দেওয়াল ধসে যায় এবং দরজা-জানালা ছিটকে যায়। এতে রাশেদুল, তার স্ত্রী সোনিয়া, শিশুসন্তান রিফাত ও কর্মচারী ফারুক দগ্ধ হন।

তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনসিস্টটিউটে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে তাদের মৃত্যু হয়।

বি.এম খোরশেদ/আরএইচ