দেশজুড়ে

ফতে হত্যার শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর পূর্বপাড়া গ্রামের দিনমজুর ফতে আলী সিকদার (৫৫) হত্যার আসামিদের শাস্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার। রোববার সকালে নিহতের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নিহতের স্ত্রী আতেশা বেগম।তিনি বলেন, বাড়ির পাশের একটি যৌথ মালিকানাধীন পুকুরের মাছ চুরির অপবাদ দিয়ে ৩১ জানুয়ারি রোববার বেলা ১১টার দিকে সবার সামনে নির্মমভাবে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়। মামলার আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা আতঙ্কগ্রস্ত এবং আমার স্বামী হত্যার বিচার পাবো কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।জানা গেছে, ওই দিন পুকুরে মাছ চুরির অজুহাত দেখিয়ে প্রতিবেশী ওমর আলী শেখ, এস্কেন শেখ, আওলাদ শেখ ও ননীক্ষীর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা  লিটন শেখসহ ১৫/১৬ জনের একটি দল ফতে আলীকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করে। বাড়ির লোকজন বাধা দিতে আসলে তাদের গুলি করার ভয় দেখানো হয়। এ সময় তার ভাইপো শহীদকেও ব্যাপক মারপিট করে। এক পর্যায়ে তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে গেলে পরদিন ১ ফেব্রুয়ারি বাড়ির লোকজন তাকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থা গুরুতর হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।এ ব্যাপারে ২ ফেব্রুয়ারি আতেশা বেগম বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় ওমর আলীসহ ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে ননীক্ষীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমান শেখ জানান, ফতে আলী একজন দরিদ্র অসহায় দিনমুজুর। তাকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে এটা ভাবাই যায় না। আমি এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।তবে মুকসুদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, ফতে আলী দরিদ্র ও অভাবী লোক। মাছ চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর থেকেই আমরা আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যতই প্রভাবশালী হোক না কেন আসামিদের গ্রেফতার করে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত অব্যাহত  রয়েছে।হুমায়ূন কবীর/এফএ/এসএস/এবিএস