দেশজুড়ে

সনদ জালিয়াতি, বান্দরবানে ৯ শিক্ষকের প্রার্থিতা বাতিল

বান্দরবানে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থায়ী বাসিন্দা সনদ (বোমাং রাজার বা সার্কেল চিফ সনদ) জালিয়াতির অভিযোগে ৯ শিক্ষকের প্রার্থিতা বাতিল ও স্থায়ীভাবে অযোগ্য ঘোষণা করেছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

অভিযুক্তরা হলেন বান্দরবান সদর উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আর্মিপাড়া এলাকার নাছির আলমের স্ত্রী আইরিন আক্তার মিতু, সুয়ালক বাজার এলাকার মো. নুরুজ্জামানের ছেলে মো. তারেকুজ্জামান, লামা উপজেলার সরই ডলুছড়ি মৌজার দেরাজ মিয়া এলাকার মঞ্জুরুল আলমের মেয়ে নাহিদ সুলতানা, লামা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হেডম্যান পাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, লামা বড়ইতলি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাঙালিপাড়া এলাকার লাল মিয়ার ছেলে রহিম উদ্দিন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘুমধুম এলাকার মৃত আবদুল জব্বারের মেয়ে রহিমা বেগম, ১ নম্বর ওয়ার্ডের মুংরী হেডম্যান পাড়া এলাকার মগান মারমার মেয়ে ছায়ামং মার্মা, নাইক্ষ্যংছড়ি মসজিদ ঘোনা এলাকার উজ্জ্বল কুমার দাশের স্ত্রী অত্রী দাশ ও রুমা ২ নম্বর ইউনিয়নের মনির ডাক্তারের বাড়ি এলাকার মো. মনিরুজ্জামান মোল্লার ছেলে নাঈম মাহমুদ শাওন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের অধীন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ২৭৬ জন চূড়ান্ত পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়। এদের মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে স্থায়ী বাসিন্দা সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠায় এই ৯ জনের নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়। পরে নিয়োগ কমিটি এগুলো যাচাই-বাছাইয়ের পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৯ জনের প্রার্থিতা বাতিলের সুপারিশ করে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার হোসেন জানান, স্থায়ী বাসিন্দা সনদ জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় নিয়োগ কমিটির সুপারিশে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

নয়ন চক্রবর্তী/এসআর/এএসএম