মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় বাড়ির শৌচাগার থেকে একটি মেছো বিড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের রামভদ্রপুর গ্রামের বিধান চন্দ্র দাসের বাড়ি থেকে বিড়ালটিকে উদ্ধারের পর সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে জঙ্গলে ছেড়ে দেন বনবিভাগের লোকজন।
বাড়ির মালিক বিধান চন্দ্র দাস জানান, গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে শৌচাগারে গেলে ভেতর থেকে তাকে মেছো বিড়ালটি ধাওয়া করে। এ সময় ভয় পেয়ে কৌশলে শৌচাগারের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন তিনি। খবর দিলে সকালে বন বিভাগের লোকজন এসে স্থানীয় বিড়ালটিকে উদ্ধারের পর বনে ছেড়ে দেয়।’
বিধান চন্দ্র দাসের স্ত্রী সবিতা দাস বলেন, ‘প্রথমে আমরা ভয় পেয়েছি। সিলেটের একটি কলেজে অধ্যয়নরত আমার ছেলেকে বিষয়টি জানালে সে বন বিভাগে খবর দেয়। দুপুর ১২টার সময় বন বিভাগের লোকজন এসে বিড়ালটিকে ছেড়ে দিয়েছে।’
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, অনেক এটিকে মেছোবাঘ বলে শুধু শুধু আতঙ্ক ছড়ায়। এটা আসলে বাঘ নয়। এটি মেছো বিড়াল। প্রাণীটি মানুষকে আক্রমণ করে না, বরং মানুষ দেখলে পালিয়ে যায়। তাই এটি নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতেন হয়েছে। এ জন্য হয়তো মেছো বিড়ালটিকে মারতে যায়নি। এখন মেছো বিড়ালের প্রজনন সময়। তাই তার সঙ্গী ও বাচ্চাদের বিষয়টি চিন্তা করে তাকে স্থানীয় জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় প্রাণীটির বিচরণ আছে। জলাভূমি আছে এমন এলাকায় বেশি দেখা যায়। প্রাণীটি জলাভূমির মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ছাড়াও পোকামাকড় ও ইঁদুর খেয়ে কৃষকের উপকার করে। জনবসতি স্থাপন, বন ও জলাভূমি ধ্বংস, পিটিয়ে হত্যা ইত্যাদি কারণে বিগত কয়েক দশকে প্রাণীটির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে।র্আব্দুল আজিজ/এসজে/জিকেএস