ইলিশ প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা বন্ধে ইলিশ জেলেদের ভর্তুকির আওতায় নিয়ে আসতে সরকারের পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক। রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, জেলেদের আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাটকা এলাকায় বিগত সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ জেলার ১১২টি উপজেলায় বিস্তৃত হয়েছে। পাশাপাশি সহায়তাপ্রাপ্ত জাটকা জেলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৬২ জন জেলেকে পরিবার প্রতি প্রত্যেক মাসে ৮০ কেজি হিসেবে ৫ মাসের জন্য ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৪ দশমিক ৮০ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা এবং পরিবার প্রতি মাসিক ১ হাজার টাকা হিসেবে ৫ মাসের জন্য ১৯২ কোটি টাকা ২৩ লাখ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।আগামী ইলিশ প্রজনন মৌসুমে জাটকা আহরণে জেলেদের অনুসাৎহিত করতে মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি জানান, ২০১৬ সালে প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা বন্ধের লক্ষ্যে ওই সময় এক মাস দরিদ্র সব জেলেকে ৮০ কেজি হারে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৬২টি পরিবারকে ৩০ হাজার ৭৫৬ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন চাল এবং পরিবার প্রতি মাসিক এক হাজার টাকা হিসেবে ৩৮ কোটি ৪৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা প্রদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।নজরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে জুলাই ২০১৫ হতে জানুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত ৪৬, ২৫৭ দশমিক ৫৮ মে. টন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বিদেশে রফতানি করে বাংলাদেশ ৩৩৯ দশমিক ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। তবে বিগত অর্থবছরে ৮৩, ৫২৪ দশমিক ৩৭ মে. টন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রফতানিতে সরকারের কোনো অর্থ প্রত্যক্ষভাবে ব্যয় হয়নি। আনোয়ারুল আবেদীন খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দৈনিক জনপ্রতি ৬০ গ্রাম হারে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে সমগ্র দেশে মাছের মোট চাহিদা ৪০ দশমিক ৫৫ লাখ মেট্রিক টন।এইচএস/এসএইচএস/এমএস