তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের বিকাশ চাইলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতে হবে। গণতন্ত্রকে গণতন্ত্রের জায়গায় রাখতে গণমাধ্যমই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।’রোববার বিকেলে বাংলা একাডেমির ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ভবনের চতুর্থ তলার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সামিয়া রহমান সম্পাদিত ‘কুতর্ক বিতর্কে গণমাধ্যম’ বইটির মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের রাজনীতিতে উত্থান-পতন থাকতে পারে, কিন্তু গণমাধ্যম কখনো হোঁচট খেতে পারে না। কারণ এর ভুল হলে জাতির ধ্বংস অনিবার্য। তাই গণমাধ্যমকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে।’তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের কিছু নীতি থাকতে পারে, তবুও সংবাদকর্মীদের উচিত নিজস্ব বিচার বিবেচনায় কাজ করা। গণমাধ্যমকে সবসময় নারী, শিশু ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় কাজ করা উচিত।’গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ধর্মান্ধতা, জঙ্গিবাদ এবং সাইবার অপরাধ উল্লেখ করে ইনু বলেন, ‘কিভাবে এদের কাছ থেকে দেশ ও গণমাধ্যমকে রক্ষা করা যায় সেটার জন্য কাজ করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শাসক সবসময় সমালোচনায় বিশ্বাস করে। কিন্তু নিরপেক্ষতার বিচারে জঙ্গিবাদকে এবং গণতন্ত্রকে একই পাল্লায় মাপবেন না। গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ নেই। বরং গণমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠ হওয়া উচিত। নিরপেক্ষতার কথা বলে জঙ্গিনেত্রীকে সর্মথন করবেন না।’গোল টেবিল আলোচনায় আরো অংশ নেন- বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. শামসুজ্জামান খান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক তারেক শামসুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রুবায়েত ফেরদৌস, সাংসদ ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রকাশক রবিন আহসান প্রমুখ।এমএম/এমএইচ/একে/এমএস