দেশজুড়ে

একসঙ্গে তিন সন্তান প্রসব, ভরণপোষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা

ঝালকাঠির রাজাপুরের চারাখালি গ্রামের হারুন জোমাদ্দারের মেয়ে নাজমিন বেগম (২৬) একসঙ্গে তিন ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এদিকে, নাজমিনের স্বামী রিকশাচালক ইউনুচ হাওলাদার তেমন একটা খোঁজ-খবর না নেওয়ায় বাবার অভাবের সংসারে নবজাতকদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই গৃহবধূ।

নাজমিন বেগম জানান, সাত বছর আগে পিরোজপুরের হুলারহাট এলাকার মৃত সোবাহানের ছেলে রিকশাচালক ইউনুচ হাওলাদারের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ইউনুচ আগের স্ত্রী থাকার বিষয়টি গোপন করে নাজমিনকে বিয়ে করেন। যে কারণে সতীনের সংসারে স্বামীর বাড়িতে কোনোমতে মাসখানেক স্থান হয়েছিল তার।

ইউনুচের আগের সংসারে তার স্ত্রী ও তিন সন্তান থাকায় অভাব আর অশান্তির কারণে নিরুপায় হয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন নাজমিন। তার চার বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। রিকশাচালক ইউনুচ মাঝে মাঝে শ্বশুরবাড়ি আসলেও তেমন একটা ভরণপোষণ দেন না। এর মধ্যে গত সোমবার নাজমিন তিন ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

নাজমিন জানান, অর্থাভাবে ক্লিনিক বা হাসপাতালেও যেতে পারেননি তিনি। বাড়িতেই স্বাভাবিকভাবে তিন ছেলের জন্ম দিলেও তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া আর লালনপালনের চিন্তা তাড়া করছে তাকে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

নাজমিনের বাবা হারুন জোমাদ্দার বলেন, দুর্ঘটনায় হাত-পা ভেঙে অচল অবস্থায় মানুষের কাছে হাত পেতে পরিবারের লোকজন নিয়ে কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। এর মধ্যে নাজমিনের তিন সন্তান হওয়ায় তাদের খরচ বহন করার সামর্থ্য আমার নেই।

এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান খান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিকসহ সার্বিক সহায়তা করা হবে।

আতিকুর রহমান/এমআরআর/জিকেএস