দেশজুড়ে

জিন্নাহর স্মৃতিফলক গুঁড়িয়ে দিলেন রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধারা

পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নামে নির্মিত জিন্নাহ মিউনিসিপ্যাল পার্কের নামফলক গুঁড়িয়ে দিয়েছেন রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধারা।রোববার দুপুরে পার্কের ফলকটি গুঁড়িয়ে দিয়ে নামকরণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধা পার্ক। এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সকলের নজরে আসে। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা এটি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ডা. আব্দুল মান্নান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ডের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. মতিউর রহমান, মহানগর ডেপুটি কমান্ডার রবিউল ইসলাম, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মহানগর সভাপতি শাহজাহান আলী বরজাহান।মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. আব্দুল মান্নান বলেন, জিন্নাহ যা করে গেছে, তা আমাদের দৃষ্টিগোচর ছিল না। আজ তার শেষ চিহ্ন এই রাজশাহীর বুক থেকে সরিয়ে দিলাম। যারা আমাদের ভাষা নিয়ে কটাক্ষ করে, আমাদের শহীদদের নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করে সেই পাকিস্তানিদের কোনো চিহ্ন কোথাও থাকবে না।আওয়ামী লীগ নেতা ডাবলু সরকার বলেন, পাকিস্তানিরা আমাদের ২৪ বছর শোষণ করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, জাতিকে মেধাশূন্য করতে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছে। মা-বোনদের ইজ্জত নিয়েছে। আর আমরা তাদের কোনো চিহ্ন এ পবিত্র বাংলায় রাখতে চাই না। তাই পাকিস্তানের শেষ স্মৃতি চিহ্নে পেরেক ঠুকে দিলাম।মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. মতিউর রহমান বলেন, পাকিস্তানের গভর্নর জিন্নাহ আমাদের ভাষাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। যার প্রতিবাদ করেছিলেন ভাষা শহীদরা। আর এ কারণে ভাষার মাসে তার কোনো স্মৃতিচিহ্ন আমরা বাংলার মাটিতে রাখতে চাই না।প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গভর্নর জিন্নাহ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর ১৯৭০ সালের ৫ ডিসেম্বর নগরীর সিপাইপাড়া এলাকায় জিন্নাহ মিউনিসিপ্যাল পার্কের উদ্বোধন করেন রাজশাহীর তৎকালীন জেলা প্রশাসক কে এ জামান।শাহরিয়ার অনতু/এআরএ/বিএ