দেশজুড়ে

রাজবাড়ীতে চলছে স্পেশাল ট্রেনের ভারত যাত্রার প্রস্তুতি

ভারতের “মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১১৫তম পবিত্র ওরশ শরীফ উপলক্ষে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর উদ্যোগে ২২টি বগিতে ২২শ ওরশ যাত্রী নিয়ে স্পেশাল ট্রেনটির ভারত যাত্রার প্রস্তুতি চলছে। বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। স্পেশাল ট্রেনটিতে চলছে সাজানোর কাজ। বিকেলের মধ্যে সাজানোর কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান সাজানোর কাজে নিয়োজিত কর্মীরা।পবিত্র ওরশ শরীফ পরিচালনা করবেন, রাসুল পাকের (সাঃ) ৩৩ তম ও গাউস-উল আযম বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (আঃ) পাক এর ২০তম অধস্তন আওলাদপাক জিল্লে ইলাহী, বেলায়েত রবি, গাউসে জামান লাখো ভক্তের আকা ও কেবলা কাদেরীয়া তরীকার সজ্জাদানশীন বড় হুজুরপাক হযরত সৈয়দ শাহ্ রশিদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।এ উপলক্ষে “বড় হুজুরপাক” কেবলা পরিচালিত আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া, রাজবাড়ীর উদ্যোগে ২২টি বগি সম্বলিত মেদিনীপুর ওরশ স্পেশাল ট্রেনে প্রায় ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ পুরুষ ১২৫৫ জন, মহিলা ৮৬৫ জন, শিশু ৮০ জনসহ মোট ২২শ ওরশ যাত্রী নিয়ে সোমবার রাত ১০ টায় কাজী ইরাদত আলী সভাপতি, আঞ্জুমান-ই- কাদেরীয়া (ট্রেন লিডার), রাজবাড়ী এর নেতৃত্বে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারতে পশ্চিম বঙ্গের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। পবিত্র ওরশ শরীফ শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি রাজবাড়ীতে ফিরে আসবে।প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও মেদিনীপুর শহরে মির্জামহল্লা জোড়া মসজিদ প্রাঙ্গন ও দায়রাপাকে সুফি সাধক হয়রত সৈয়দ শাহ মুরশেদ আলী আল কাদেরীর ১১৫ তম বার্ষিক ওরশ উৎসব  মহাসমারোহে পালিত হবে। দু’দিন ব্যাপী এই উৎসব চলবে ১৭ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি।  ১৯০১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বেসাল শরীফের (তিরোধান) পর থেকেই প্রত্যেক বছর এই পবিত্র ওরশ পালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে তার প্রপৌত্র বর্তমান সজ্জাদানশীন ও স্থলাভিষিক্ত বড় হুজুর পাক নামে খ্যাত হয়রত সৈয়দ শাহ্ রশিদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরীর উপস্থিতিতে ও পরিচালনায় সব কিছু নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। মাজার শরীফ জিয়ারত এবং বড় হুজুর পাক এর দর্শন লাভের আকাঙ্খায় দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সমবেত হয়। রুবেলুর রহমান/এফএ/ এমএএস/এবিএস