নিরাপত্তার অজুহাতে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশে আসেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এর আগেও একই অজুহাতে টেস্ট সফর বাতিল করে তারা; কিন্তু আইসিসির যুবাদের সেরা এই আসর সফলভাবে আয়োজন করে বিসিবি বিশ্বকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশ সম্পূর্ণ নিরাপদ একটি দেশ। ক্রিকেটের জন্য খেলোয়াড়দের সব ধরণের নিরাপত্তা দিতে সিদ্ধহস্ত তারা। টুর্নামেন্টের সফল আয়জনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনও বলেন, নিরাপত্তা দিতে পারলে সব দেশেই খেলতে যাওয়া উচিৎ।একটি সফল আয়জনের পর ক্রিকেট বিশ্বকে কি বার্তা দিতে চান? এমন প্রশ্নে সোমবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘আমার তো নতুন করে কিছু বোলার নাই। আমরা এর আগেও ২০১১ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছি। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছি। এছাড়াও বেশ কয়েকবার এশিয়া কাপ আয়োজন করছি এবং প্রত্যেকবারই তা সফল হয়েছে। তবে একটা জিনিস বলতে চাই, সেটা হলো আমাদের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আছে। যদি আপনি একটা দেশকে সব ধরণের নিরাপত্তা দিতে পারেন তাহলে সকল দেশেই যাওয়া উচিৎ।’ ফ্রান্সের উদাহরণ টেনে পাপন আরও বলেন, ‘বর্তমান সময়ে কোন দেশ নিরাপদ? আপনি কি বলতে পারবেন লন্ডন অথবা যুক্তরাষ্ট্রে কিছু হবে না! ফ্রান্সের ঘটনার পর আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত আমরাও সফলভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পেরেছি। কারণ, আমাদের সেই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।’তবে টুর্নামেন্ট আয়োজন বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে জানান পাপন তিনি। আর সফল আয়োজনের জন্য সকলকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। শুরু থেকেই আমরা আইসিসির অন্য বড় ইভেন্টগুলোর মত সমান গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের আত্মবিশ্বাস দেয়ায় এবং বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। পাশাপাশি আইসিসিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমাদের উপর বিশ্বাস রাখার জন্য এবং সহযোগিতা করার জন্য। এছাড়াও আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, র্যাব, বিজিবি ও গোয়েন্দাবাহিনীসহ সকলকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সহযোগিতা করার জন্য। সংবাদকর্মীদেরও অনেক ধন্যবাদ বিশ্বকাপের খবর ব্যপকভাবে প্রচার করার জন্য।’আরটি/আইএইচএস/আরআইপি