পুরোনো মামলা নতুন মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে চালানো একটি ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও অর্থ সচিবসহ বিবাদীদের ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৩ মার্চ এ বিষয়ে শুনানির পরবর্তী দিন রেখেছেন আদালত।এক রিট আবেদনের শুনানি করে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই আদেশ দেন। আদেশে জানতে চাওয়া হয়েছে, মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনের ৩১ এর ৩ ধারা সংবিধানের ৩৫ (২) অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না? আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।হলমার্ক গ্রুপের আলোচিত ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায় ওই গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ রিট আবেদনটি করেছিলেন। হলমার্ক গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা ১১টি মামলার মধ্যে নয়টিতে তুষারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে তার বিষয়ে ব্যারিস্টার ফখরুল বলেন, এসব অভিযোগের সময়কাল ২০০৯ সাল, ঘটনাস্থলও এক। মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনের ৩১ এর ৩ ধারার সুযোগ নিয়ে তুষারের বিরুদ্ধে এসব মামলায় ২০১২ সালের আইন অনুযায়ী অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১২ সালের মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনের ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, ওই আইন হওয়ার সঙ্গে পুরনো আইন ও অধ্যাদেশ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তবে আগের আইনে দায়ের হওয়া কোনো মামলা অনিষ্পন্ন থাকলে তার বিচার নতুন আইনেই হবে। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে হলমার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ঘটনা প্রকাশ পেলে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ওই অভিযোগে ২০১২ সালের আগস্টে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে একই বছর ৪ অক্টোবরে ১১টি মামলা করা হয়।এরপর ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর হলমার্ক গ্রুপের পরিচালক তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম ও মহাব্যবস্থাপক তুষারসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় দদুক।অভিযোগে বলা হয়, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে রূপসী বাংলা (শেরাটন) হোটেল শাখা থেকে হলমার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে পরিশোধিত (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা। এফএইচ/এনএফ/আরআইপি