অনেকের ভালোবাসা দেখলে নিজেকে দুঃখী মনে হয়অনেকের আনন্দ দেখলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত শুধুই অবহেলায় গত করেছিআজ দুঃখ কিংবা মন খারাপ হলে কোনো উত্তর খুঁজে পাই নাএ যে নিজের তৈরি বসতবাড়ি।
আজ যখন অনেক দূর পারি দিয়ে এসেছিবুঝতে শিখেছি অবহেলা আর অযত্নে রাখা সময়ের ঘড়ির কথা,জানি না কতটুকু শোধরাতে পেরেছি; তবে চেষ্টা করছিআজ তাই অন্যের সুখ দেখলে নিজেকেও সুখী মনে হয়,কারো দুঃখ দেখলে নিজের চোখের জল ঝরনার মতো ঝরে পড়েতবুও অসহায়;
শত চেষ্টায়ও এগিয়ে আসতে পারি না তাদের পাশেএ যে বাস্তবতা, কথা বলে ধন থাকলেই ধনী হয় না আরমন থাকলেই সব পাওয়া যায় না,তবে পাশে এসে পিঠে বা মাথায় হাত বুলিয়েপাশে বসিয়ে দু’মুঠো ডাল ভাত দেওয়ার ক্ষমতা আছেএতটুকুই পারি।
আগের মতো কারও ভালোবাসা দেখলে হিংসে হয় নাহয়তো তাই নিজের ভালোবাসা বিলিয়ে দিতে পারিযখন পাশে বসিয়ে মাথায় হাতটি বুলিয়ে দেয় ৬৫ কিংবা ৭৫ বয়সীকোনো ব্যক্তি; তখন মনটা কেন যেন কেঁদে ওঠে,এ অশ্রুজল কাউকে হারানোর নয়—এ ভালোবাসার জল।
কবি: সাংগঠনিক সম্পাদক, সুন্দরগঞ্জ সাহিত্য সংসদ, গাইবান্ধা।
এসইউ/জেআইএম