দেশজুড়ে

মৌলভীবাজারে হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরতে ‘বেঙ্গল কনভেনশন হল মৌলভীবাজার হাফ ম্যারাথন- ২০২১’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) ভোর ৬টায় এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তৃতীয়বারের মতো এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে মৌলভীবাজার সাইক্লিং সোসাইটি ও রানার্স ক্লাব।

মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এরপরই শহরের শ্রীমঙ্গল রোডের বেঙ্গল কনভেনশন হল থেকে শুরু হয় ম্যারাথনের দৌড়।

এ বছর ম্যারাথনকে উৎসর্গ করা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে। মৌলভীবাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা ও ভারত, নেপালের অনেক দৌড়বিদ এই ম্যারাথনে অংশ নেন।

আয়োজকরা জানান, করোনা পরবর্তীসময়ে অনেকের মধ্যে নানা রকম বিষণ্ণতা তৈরি হয়েছে। অনেকের মধ্যে স্থবিরতা এসেছে। এই অবসাদ, স্থবিরতাকে ভেঙে আবার সবাইকে চাঙা করে তোলাই এই ম্যারাথনের উদ্দেশ্য। এই জেলার সৌন্দর্য দেশ-বিদেশের পর্যটকদের সামনে তুলে ধরাও ম্যারাথনের অন্যতম একটা দিক। তবে এর সঙ্গে এবার যুক্ত করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে। সেই লক্ষ্যে এবার হাফ ম্যারাথনে মৌলভীবাজার জেলার ম্যাপের ভেতর বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধের ছবি সংবলিত টি-শার্ট ও মেডেল তৈরি করা হয়েছে। এই স্মৃতিসৌধটি রয়েছে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে। এছাড়া ম্যারাথন উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে নিয়ে তথ্যচিত্র।

মৌলভীবাজার রানার্স ক্লাব সূত্রে জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর থেকে ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। ৭ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হয়েছে। নিবন্ধন ফি ছিল এক হাজার ৫০ টাকা। এদিন সকাল ছয়টায় শহরের শ্রীমঙ্গল সড়কের বেঙ্গল কনভেনশন হল থেকে এ দৌড় শুরু হয়। দুই রকম দূরত্বে এই দৌড় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর একটি ১০ কিলোমিটার দূরত্বের। এই দূরত্বের অংশগ্রহণকারীরা শহরতলির কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা বাজারের দক্ষিণ প্রান্ত ছুঁয়ে মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামে ফিরেছেন।

মৌলভীবাজার সাইক্লিং কমিউনিটির অ্যাডমিন আহমেদ বলেন, এবার হাফ ম্যারাথনের তৃতীয় আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের এই আয়োজনে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। চারদিনেই সাড়ে ছয়শো রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়ে গিয়েছিল। ভবিষ্যতে এই ম্যারথনকে আরও বড় পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান বলেন, এভাবে যদি বড় বড় আয়োজন করা যায়, তাহলে পর্যটন খ্যাতে এই জেলাকে তুলে ধরতে পারবো। এখানে সারাদেশ থেকে মানুষ এসে অংশ নিয়েছেন। আমরা এভাবে নিজেদের সুস্থ রাখবো। আমরা আমাদের সমাজকে ভালো রাখার চেষ্টা করবো।

আব্দুল আজিজ/আরএডি/জিকেএস