কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভায় তিনতলা ভবন থেকে পড়ে তানজিনা ইসলাম (২৭) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর স্বজনদের দাবি, তাকে ভাবন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। তবে তার স্বামীর দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী মামুদুর রহমান (৩৭), শ্বশুর হাজি আবুল খায়ের (৭০) ও দেবর তোফাজ্জল হোসেনকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে তানজিনা ইসলামের সঙ্গে ভৈরব বাজারের মামুদুর রহমানের বিয়ে হয়। তানজিনার বাবারবাড়ি পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকায়। তাদের দুটি সন্তানও আছে। নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় তুচ্ছ ঘটনায় দুজনের মধ্য ঝগড়া হয়। রাগ করে তানজিনা ইসলাম ভবনের তিনতলা থেকে লাফ দিয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে স্বামী, শ্বশুর, দেবর মিলে তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর ও দেবর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যেতে চাইলে জনতা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
তানজিনার ভাই জাহির মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘ঝগড়া করে বোনকে ভবন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করেছে মাহমুদুর রহমান।’
তবে তানজিনার স্বামী মাহমুদুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তানজিনা আমার সঙ্গে রাগ করে তিনতলা থেকে লাফ দিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসমত তাহমিনা জাগো নিউজকে বলেন, মৃত অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে তানজিনাকে হাসপাতালে আনা হয়। মাথা ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। গৃহবধূর স্বজনরা অভিযোগ দিলে ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজীবুল হাসান/এসজে/এমএস