আইন-আদালত

মীর কাসেমের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হতে পারে বুধবার

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর আপিলের চতুর্থ দিনের মতো যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে আজ মঙ্গলবার। যুক্তি উপস্থাপনের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী বুধবার। সেদিন আসামিপক্ষের প্রাথমিক যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হতে পারে।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ শুনানি শেষে মামলার পরবর্তী তারিখ ঠিক করে আদশে দেন। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। মীর কাসেমের পক্ষে আজ যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান। যুক্তিতে তিনি বলেন, প্রসিকিউশনের আনা প্রতিটি সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) কাছে যে বক্তব্য পেশ করেছেন ট্রাইব্যুনালে এসে তারা তার ব্যতিক্রম কথা বলেছেন।আজ আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন মীর কাসেমের আইনজীবী এস এম শাহজাহান। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন, ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম, ব্যারিস্টার জাকের আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন। মীর কাসেম আলীর আইনজীবী এসএস শাহজাহান বলেন, আজ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউশনের আনা  ৯, ১০, ১১ ও ১২ নং অভিযোগের ওপর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার মীর কাসেম আলীর আপিলের যুক্তি খণ্ডন শেষ হতে পারে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা বুধবার যুক্তি পেশ করার পরে রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তি পেশ করবে। তারপরে আমরা রিপ্লাই দিতে পারবো। গত ৯ ফেব্রুয়ারি মীর কাসেমের আপিল মামলাটির শুনানি শুরু হয়।২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর ৩০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মীর কাসেমের খালাস চেয়ে আপিল করা হয়। ২০১২ সালের ১৭ জুন জামায়াতের এই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। এফএইচ/এনএফ/পিআর