দেশজুড়ে

পশুর নদীতে বিলীন ২০০ মিটার বাঁধ, ১৫ ঘরবাড়ি

খুলনার দাকোপে পশুর নদীতে ওয়াপদা বেড়িবাঁধের ২০০ মিটার বাঁধসহ ১৫টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে খলিশা ও পানখালী গ্রামের শতাধিক পরিবারের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে দুটি গ্রামের অর্ধশত পুকুরের মাছ।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার পানখালী গ্রামে পাউবোর বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দেয়। তখন এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বুধবার ভোরে ওয়াপদা বেড়িবাঁধের অন্তত ২০০ মিটার বাঁধ নদীতে বিলীন হয়েছে। এ সময় মানুষের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও এ বাঁধের পাশেই ১৫টি বসতঘরবাড়ি ও নানা স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- তাপস রায়, পরিমল রায়, অনুরুদ্ধ রায়, মহাদেব কুমার রায় ওরফে ছোট মহাদেব, কিংকর রায়, শংকর রায়, মহাদেব রায়, অমল কৃষ্ণ রায়, মলয় রায়, প্রণয় কুমার রায়, জ্যোতিশংকর রায় ও প্রভাত রায়। ভাঙন এলাকা থেকে অনেক পরিবার তাদের বসতঘর বাড়ি রক্ষার্থে সেটি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেছে। পশুর নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় বড় খলিশা ও পানখালী গ্রামের প্রায় শতাধিক বসতঘর বাড়ি প্লাবিত হয়ে সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ দুটি গ্রামে কৃষকের অন্তত এক হাজার বিঘা পাকা আমন ফসলের ক্ষেতে পানি ঢুকে পড়েছে।

দুপুরে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস। তিনি ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিন্টু বিশ্বাস, পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহম্মেদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদের, ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মণ্ডল, ইউপি সদস্য শেখ শহিদুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য জ্যোতিশংকর রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জানান, ৮-১০ দিন পর আমন ধান কাটা শুরু হবে। প্লাবিত গ্রামের ভিতরে কৃষকের পাকা আমন ধানে পানি ডুকে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পানি নেমে যাওয়ার সময় ওই ধান নুয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, খলিশা গ্রামে নদী ভয়াবহ নদী ভাঙন সম্পর্কিত বিষয়ে তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসককে অবগতি করেছি। এছাড়া নদী ভাঙন দ্রুত যুগোপযোগী টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য পাউবোকে বলা হয়েছে।

আলমগীর হান্নান/আরএইচ/জেআইএম