একটা ভুল সিদ্ধান্ত যে পুরো একটি ম্যাচের চেহারা পরিবর্তন করে দিতে পারে, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে শেষ হওয়া ওয়েলিংটন টেস্ট। আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থের কল্যাণে মাত্র ৭ রানে জীবন পেয়ে অ্যাডাম ভোজেস ভেঙ্গেছিলেন শচীনের রেকর্ড। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছিলেন ২৩৯ রানে। অথচ, ভোজেস যদি ওই সময় আউট হয়ে যেতেন, তাহলে রেকর্ডও ভাঙা হতো না, ম্যাচের চেহারাও হতো ভিন্নতর।ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোজেসকে আউট না দেওয়ায় অপরাধবোধে ভুগছেন এখন আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড টেস্টে রেকর্ড ব্রেকিং ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর আউটের কথা নিজেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন অ্যাডাম ভোজেস। বলেছিলেন, ‘আম্পায়ার নো বল দেওয়ায় আমি বেঁচে যাই। আমি তো আউট ভেবে হাঁটাই দিয়েছিলাম; কিন্তু এরপরই লক্ষ্য করি আম্পায়ার হাত তুলেছেন।’ এটা না হলে ৩৩৯ রানের ইনিংসই খেলা হত না ভোজেসের। ভাঙা হত না শচীন টেন্ডুলকারের আউট না হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট রানের রেকর্ডও। আউট না হওয়ার আনন্দে হয়তো ভাসছেন ভোজেস। অনেক বড় ইনিংস খেলতে পেরেছেন বলে; কিন্তু উল্টো দিকে রীতিমতো হতাশ ভোজেসকে আউট না দেওয়া আম্পায়ার রিচার্ড। যদিও নিউজিল্যান্ড দল তার দিকে আঙুল তোলেননি। বরং ম্যাকালাম রিচার্ডের পাশেই দাঁড়িয়েছেন এবং ভোজেসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে, এই কারণে যে সুযোগটা অসাধারণভাবে কাজে লাগানোর জন্য।ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডই রিচার্ডের মানসিক অবস্থার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দূর্ভাগ্যজনক। রিচার্ড যখন বুঝতে পারে বলটা নো ছিল না, তারপর থেকেই ও ভেঙে পড়েছে। হতাশায় ঘিরে ধরেছে তাকে। এটা ঠিক নিজের সিদ্ধান্ত ভুল হলে সেটা খুব লজ্জাজনক হয়। তবে ভুল মানুষ মাত্রই হয়। যদিও একবার সিদ্ধান্ত দিয়ে দেওয়ার পর তা ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। তবে এরকম মানসিক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হয় আম্পায়ারদের।’ঘটনাটি ঘটেছিল প্রথম দিনের শেষ ওভারে। যার ফলে সেই ওভারের রিপ্লেও দেখানো হয়নি স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে। যে কারণে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররাও প্রতিবাদ করতে পারেননি। তবে নিউজিল্যান্ড কোচ মাইক হেসন এই নো বল নিয়ে ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেটা নিয়ে বেশি না ভেবে খেলায় মন দেওয়াটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল কিউইদের।আইএইচএস/পিআর