কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাজী ফুল মিয়া পাদুকা মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক পাদুকা দোকানের গোডাউনের মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে। চার ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে তাদের অন্তত ২০-৩০ কোটি টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব পৌর শহরের উপজেলার সামনে হাজী ফুল মিয়া পাদুকা মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে । সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মার্কেটের তৃতীয় তলায় একটি জুতার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে তা মার্কেটের শতাধিক দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে গোডাউনে থাকা ২০-৩০ কোটি টাকার জুতাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কীভাবে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তার কারণ জানা যায়নি। তবে বিদ্যুতের লাইন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের।
ভৈরব পাদুকা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সবুজ মিয়া বলেন, সামনে জুতার সিজন উপলক্ষে মার্কেটের ছোট-বড় সব ব্যবসায়ী তাদের গোডাউনে অনেক মালামাল স্টক রেখেছিলেন। এসব গোডাউনে একেকজন ব্যবসায়ী ৬০-৭০ লাখ টাকার মালামাল রেখেছিলেন। কিন্তু আগুনে মুহূর্তে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এই মার্কেটে ৫০-৬০টি গোডাউন ছিল। তাদের মধ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রাজু ফুডওয়্যারের মালিক। পাদুকা সমিতির সভাপতি আল আমিন মিয়ার একটি গোডাউনেও আগুন লেগেছে। তাতে ২০-৩০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ভৈরব পাদুকা মালিক সমিতির সভাপতি আল-আমিন বলেন, হাজী মার্কেটের তৃতীয় তলায় আমার একটি জুতার গোডাউন রয়েছে। আমি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নিজের দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ শুনি ওপরের তলার গোডাউনে আগুন লেগেছে। খবর শুনেই ছুটে যাই। পরে আগুন নেভাতে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমার গোডাউনে ২০-২৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন তো আমার পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ভৈরব নদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল ইসলাম রাজন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি ইউনিট কাজ করে। চার ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।
রাজীবুল হাসান/এসআর/জিকেএস