অর্থনীতি

ব্যাংকগুলোতে লজিক্যাল সিকিউরিটি বাড়ানোর পরামর্শ

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা বলেছেন, এতোদিন ব্যাংকগুলোর ফিজিক্যাল সিকিউরিটি ভেঙে টাকা চুরি বা ডাকাতি হয়েছে, এরপর লজিক্যাল সিকিউরিটিও ভাঙতে পারে। এজন্য ব্যাংকগুলোকে আরো সতর্ক হতে হবে। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) এটিএম বুথে জালিয়াতির ঘটনায় গ্রাহকের খোয়া যাওয়া টাকার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ইস্টার্ন ব্যাংকের ২৪ জন গ্রাহকের ১৭ লাখ ৫৩ হাজার  টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। অনুষ্ঠানে ৫ জন গ্রাহকের হাতে এ চেক হস্তান্তর করা হয়। অন্যান্য গ্রাহকের অর্থ তাদের অ্যাকাউন্টরে জমা করে দেয়া হয়েছে বলে জানান ইবিএল কর্তৃপক্ষ।নাজনীন সুলতানা বলেন, এটিএম বুথে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনাগুলো যথাসময়ে পরিপালন করতে হবে। এই জন্য বর্ধিত কোনো সময় দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে জালিয়াতি রোধে গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়। তিনি বলেন, ইবিএল তাৎক্ষণিকভাবে ভিডিও ফুটেজ দেখলে হয়তবা ক্ষতি কম হতো বা চোরদের ধরা যেতো। তবে ভবিষ্যতে এব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে। এর থেকেও বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারতো। বর্তমানে ডিজিটালাইজড-এর  অনেক সুবিধার পাশাপাশি কিছু সমস্যা থাকবেই। এ জন্য আমাদের ডিজিটাল সেবা থেকে দূরে সরে গেলে হবে না। আমাদের বেশি বেশি সচেতন গ্রাহক প্রয়োজন। আজকে ইবিএলের পদক্ষেপের কারণে গ্রাহকের মধ্যে আস্থা ফিরবে। ইস্টার্ন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ও রশিদ বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এরকম আর যেন না ঘটে সেদিকে লক্ষ রাখবে ব্যাংকটি।বৃহস্পতিবার যাদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয় তারা হচ্ছেন, মাহবুবা আক্তার (বিডিনিউজ২৪ ডটকম), শাসিফুজ্জামান, কামরুজ্জামান, মো. আবু মুসা তারেক, দিপন চন্দ্র দে।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা, প্রেমেন্ট সিস্টেম ডিপাটমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মো. ইস্কান্দারসহ প্রমুখ। উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করে কৌশলে টাকা তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে জানা যায়, কার্ড ক্লোনিং করে ৪টি ব্যাংকের ২০ লাখ ১৬ হাজার টাকা তুলে নেয় তারা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ইবিএলসহ একাধিক ব্যাংক এটিএম সেবা বন্ধ রাখে। অনেক ব্যাংক টাকা উত্তোলন কমিয়ে আনে। এতে এটিএম থেকে টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ গ্রাহকদের।এসআই/একে/এবিএস