১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে ঢাকার অন্যতম প্রবেশপথ মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা চেকপোস্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
এছাড়া, চেকপোস্ট এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের নির্দেশে তারা সর্তক অবস্থানে আছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা শহীদ রফিক সেতু এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশ সদস্য সংখ্যাও। চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় রাজধানীমুখী বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। সকালে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান চেকপোস্ট এলাকা পরিদর্শনে এসে পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
তবে পুলিশ সুপার বলেন, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিকে সামনে রেখে চোকপোস্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়নি। ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টাসের নির্দেশনা অনুযায়ী জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ ধরতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।
ধল্লাসহ জেলার আরও কয়েকটি স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, ধল্লা চেকপোস্ট এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সিংগাইরের ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খানের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন। তারা বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি দেশব্যাপী নাশকতার পরিকল্পনা করছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সর্তক অবস্থানে আছি। ধল্লা চেকপোস্ট এলাকায় ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান চলবে।
বি এম খোরশেদ/এমআরআর/জিকেএস