বাংলাদেশে আইএস এর এজেন্ট হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। পাকিস্তান যে সুরে কথা বলে একই সুরে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও কথা বলেন উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানের সরকার, পার্লামেন্ট ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের সঙ্গে দুই বারের প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালনকারী খালেদা জিয়ার বক্তব্যের কোন ফারাক নেই। পাকিস্তানের একজন কুটনৈতিক বিএনপির কার্যালয়ের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করলেও এ ব্যাপারে তাদের কোন পদক্ষেপ নেই। খাধ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানতে দেয়া হয়নি। আজকে আমাদের নতুন প্রজন্ম মিথ্যা থেকে বেরিয়ে এসে সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে।মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে এবং বিদেশে এ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য যারা কাজ করছে তারা এদেশকে ভালোবাসে না, দেশের মঙ্গল কামনা করে না। কাজেই এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও এদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও বিপক্ষের শক্তি অবস্থান করবে এটা হতে পারে না। বাংলাদেশের সকলকে একাত্তরের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।খাদ্য অধিদফতরের সুনামের পাশাপাশি যে বদনাম রয়েছে তা দূর করার নির্দেশ দিয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কোন অবস্থাতেই অধিদফতরের দুর্নীতি ছাড় দেয়া হবে না। সংগ্রহ নীতিমালা পরিপন্থী কোন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।সময় ও চাহিদার প্রয়োজনে এবং মধ্যস্বত্বদের বিদায় করতে আগামীতে সংগ্রহ নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য রুখতে না পারলে কৃষক লাভবান হতে পারবে না। মধ্যসত্ত্বরা যে দলেরই হোক না কেন, তাদের অবস্থান যত শক্তই হোক না কেন তাকে ছাড় দেয়া হবে না। এমনকি নিজ দলের হলেও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সংগ্রহ নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এজন্য মিল মালিক, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অবস্থান উল্লেখযোগ্য। দেশের চাহিদা পূরণ করে আমরা চাল রফতানি করছি। বিনামূল্যে বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ন্যায্য মূল্যে কৃষক সার-বীজসহ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।রংপুরে সিএইচডি গোডাউনসহ একটি অত্যাধুনিক স্টিল সাইলো গোডাউন শিগগিরই নির্মাণ করা হবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।খাদ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বদরুল হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্য প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি মেয়র সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল।জিতু কবীর/এসএস/পিআর