বিনোদন

আঠারো না হলে মডেল নিষিদ্ধ!

আজকাল দেখা যায় বিশ্বের নানা দেশেই কমবয়সী মডেলদের আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা থাকে। বিশেষ করে র‌্যাম্পে বরাবরই অল্প বয়সী ও জিরো ফিগারের নারী মডেলদের গ্রহণযোগ্যতা তুঙ্গে।তবে এই ক্ষেত্রে নতুন ঘোষণা হলো- সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষেই ১৮ বছরের নিচে র‌্যাম্পে মডেলিং নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। এমনই এক খবর ছেপেছে বৃটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন গণমাধ্যম বিবিসি। সেখানে বলা হয়েছে, আঠারো বছরের কমবয়সীদের ক্যাটওয়াক বা র‌্যাম্পের মডেলিং থেকে নিরুৎসাহিত করতে এই ক্যাম্পেইন হাতে নেয়া হয়েছে। এটি পরিচালনা করছেন বৃটিশ মডেল রোসি নেলসন। তার সাথে যোগ দিয়েছেন একজন বৃটিশ পার্লামেন্টে রক্ষণশীল পার্টির এমপি ক্যারোলিন নোকস।এই দুজন নারী মডেলদের ভয়ংকরভাবে পাতলা হওয়ার বিষয়ে সচেতন করতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন।বিবিসর খবরে আরো বলা হয়, লন্ডন ফ্যাশন উইকে ১৪ বছর বয়সী মডেলরাও ক্যাটওয়াকে অংশ নিচ্ছেন। সেখানে দেখা যায় অল্পবয়সী মডেলরা প্রায়ই ওজন কমিয়ে হা্ড়সর্বস্ব দেহ তৈরি করেন। একসময় তারা নানা রোগে ভুগেন। এই বিষয়টি বিবেচনায় এনেই ১৮ বছরের নিচে মডেল নিষিদ্ধে সবাইকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।মডেল রোসি নেলসন নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছেন। তার মতে কমবয়সী মডেলদের যেভাবে জিরো ফিগার তৈরির জন্য চাপ দেয়া হয় সেটা অন্যায় ও অমানবিক। একসময় তিনি নিজেও ছিলেন সাইজ আট-এর অধিকারী। কিন্তু শীর্ষস্থানীয় একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার পক্ষ থেকে তাকে আরও চিকন হতে বলা হয়েছিল। এরপর শুরু হয় তার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যায়াম পর্ব। পাজড়ের হাড় দৃষ্টিগোচর হওয়ার আগ পর্যন্ত তা চলতে থাকে।মিস নেলসন বলেন, ‘আমি চারমাস পরে যখন আবার গেলাম তখন তারা আমাকে বললো, আমরা তোমাকে কেবল হাড়সর্বস্ব অবস্থায় পেতে চাই”।মিস নেলসন বলেন, ‘এ কথা শুনে আমি সেখানেই বসে পড়লাম আর ভাবলাম আমার পক্ষে আরও ওজন কমানো সম্ভব নয়। এরিমধ্যে আমি অনেকটাই হারিয়েছি। তখনই আমার হাড় জিরজিরে অবস্থা।’এরপর মিস নেলসন মডেলিং শিল্পে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করেন।ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচণ্ড পাতলা শরীরের মডেলরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার হুমকিতে থাকেন। তাদের ভক্তদের কাছে এই বার্তাই তুলে ধরতে চান এই ক্যাম্পেইনার।মডেল নেলসন বলেন, ‘আঠারো বছরের নিচে ক্যাটওয়াক করতে গেলে ছেলেদের মত দেহসৌষ্ঠব তৈরি করতে উৎসাহিত করা হয়। ছেলেদের শারীরিক গড়ন অনেকটাই একহারা। কিন্তু মেয়েদের শরীরের প্রাকৃতিক ভাবেই কিছু বৈশিষ্ট্য থাকবে। অনেক বেশি ওজন কমানোর পর মেয়েদের পোশাক পড়লেও মেয়েদের মত দেখতে লাগে না। পাশাপাশি মেয়েদের নানা রকম অসুখে ভুগতে হয়।’তিনি জানিয়েছেন, গেল ডিসেম্বর মাসে এমপি ক্যারোলিন নোকসের সাথে মিলে এটি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন। এছাড়াও তার সঙ্গে রয়েছেন অসংখ্য সমর্থক। রইমধ্যে এক লাখ উনিশ হাজার মানুষ এ বিষয়ে সমর্থন দিয়ে সাক্ষর দিয়েছেন। এলএ/এবিএস