পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ভিড় বাড়লেও শীতের শুরুতে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন কমেছে। তবে বিজয় দিবস সামনে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কুয়াকাটায় পর্যটকদের চাপ বেড়ে যায়। এরপর থেকে টানা বেশ কয়েকমাস পর্যটকদের ভিড় থাকে। কিন্তু গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরের শুরুতে পর্যটক হঠাৎ কমে গেছে। তবে ১৬ ডিসেম্বরের জন্য অগ্রিম বুকিং শুরু হয়েছে।
হোটেল ওসান ভিউয়ের জিএম আল-আমিন আপন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত একমাস পর্যটকদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। কিন্তু বিজয় দিবসসহ সামনের দুই সপ্তাহে বুকিং পেয়েছি। আগামী ১৫, ১৬, ২২ ও ২৩ তারিখের জন্য ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে।’
আবাসিক হোটেল সাগরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ সাগর জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে আমাদের মাত্র ২০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। তবে আশা করছি ছুটির দিনগুলোতে সম্পূর্ণ বুকিং পাবো।’
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, কুয়াকাটায় ছোট-বড় ১৫০টি হোটেল রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ১৪-১৫ হাজার। কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে আগমন বেড়ে যাওয়ায় অনেক পর্যটক পার্শ্ববর্তী বাসাবাড়ি এমনকী গাড়িতে রাত্রিযাপন করতে বাধ্য হন। অনেকে সারাদিন ভ্রমণ শেষে রাতে নিজ গন্তব্যে ফিরে যান।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমএ মোতালেব শরীফ জাগো নিউজকে বলেন, গত একমাস ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও স্কুল-কলেজে পরীক্ষার কারণে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন কমেছে। তবে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৬৫ শতাংশ হোটেল অগ্রিম বুকিং পেলেও বাকি হোটেলগুলো পাচ্ছে না। আশা করছি বাকি দিন ও পরের মাসগুলোতে বেশ ভালো পর্যটকের দেখা পাওয়া যাবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, সামনের ছুটিতে কুয়াকাটায় অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটবে। যে কারণে আগে থেকেই ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন রয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি ও মাইকিং করে পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/এমএস