মোংলায় আধুনিক প্যাথলজিতে ইসিজির কাজ করেন বেগম নামের ষাটোর্ধ এক আয়া। এ নিয়ে রোগী ও স্বজনদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আসাদুজ্জামান সোহেল নামের এক ভুক্তভোগী জানান, শুক্রবার দুপুরে ইসিজি করানোর জন্য আধুনিক প্যাথলজিতে যাই। সেখানে যাওয়ার পর ষাটোর্ধ এক নারী ইসিজি করেন। একজন বৃদ্ধা ইসিজি করায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে আশপাশে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তার নাম বেগম। তিনি সেখানকার আয়া।
এ বিষয়ে ঝাড়ুদার বেগম বলেন, প্যাথলজিতে আয়ার কাজ করি। ফাঁকে ফাঁকে ইসিজিও করি। এখানে আমার দোষ কী? আমি তো চাকরি করি। কোনো অভিজ্ঞতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে করতে করতে শিখেছি। তবে কোনো সনদ নেই।
আধুনিক প্যাথলজির মালিক অনিমেষ সাহা বলেন, লোক ছিল না তাই বেগম করেছে। তিনি ইসিজি করতে পারেন। যদিও তাকে দিয়ে এটা করানো ঠিক হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন বলেন, আয়াকে দিয়ে ইসিজি করানো কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। এর জন্য অবশ্যই একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক থাকতে হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আবু হোসাইন সুমন/আরএইচ/জেআইএম