কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহজাহান সরকার মনোনয়ন না পাওয়ায় সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে তার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ভোটে (সমর্থনে) দলীয় প্রার্থী নির্বাচিত হলেও পরে মনোনয়ন অন্য প্রার্থীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে এমন অভিযোগে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৩ ঘণ্টাব্যাপি ওই ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামে তার বাড়িতে এ হামলা চালায়। পরে জনতার চাপের মুখে প্রার্থী হওয়ার অঙ্গীকার করে তিনি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ছাড়া পান। সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি করিম সরকার জানান, দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রত্যেক ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদকদের মতামত ও ভোট নেয়া হয়। এতে ১৮টি ভোটের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকার শতভাগ ভোট পেয়েছেন। পরে তাকে একক প্রার্থী ঘোষণা করে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে জানতে পায় ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে মনগড়াভাবে সফিক নামের এক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। এতে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ধারণা জন্মায় শাহজাহান সরকার হয়তো সফিক নামের ওই ব্যক্তির কাছে তার মনোনয়ন বিক্রি করে দিয়েছেন। তাই ক্ষোভে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা তুলাগাঁও গ্রামের শাহজাহান সরকারের বাড়ি ঘেরাও করে ভাংচুর ও অগ্নিংযোগ করে। এক পর্যায়ে তারা শাহজাহান সরকারকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী তুলাগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে দেবিদ্বার আসনের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল মোবাইলফোনে ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহজাহান সরকারের মনোনয়ন অন্যত্র বিক্রির বিষয়টি মিথ্যা বলে জানিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণে নেতা-কর্মীদের আশ্বস্ত করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহজাহান সরকার দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সমর্থকদের নিকট নির্বাচনে অংশগ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কামাল উদ্দিন/এসএস/এবিএস