দেশজুড়ে

ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে দিনাজপুর

দিনাজপুরে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুর। সূর্যের দেখা মিলছে দুপুরের পর। যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৯টা থেকে ঘন কুয়াশা শুরু হয়ে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত এই ঘন কুয়াশা দেখা যায়। দুপুর আড়াইটার সময় থেকে আবারও সূর্য লুকোচুরি খেলা শুরু করে।

জেলায় চলতি সপ্তাহে এ জেলায় বৃষ্টিপাত না হলেও দুটি মৃদু শৈতপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, জেলায় শীত বাড়ছে। বৃহস্পতিবার এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা কমে আজ রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও সূর্যের তাপ ছিল না। আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। দ্রুত কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহে এ জেলা ওপর দিয়ে দুটি মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

অন্যদিকে জেলায় মানুষকে সারাদিন শীতের কাপড় পরে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। পুরাতন কাপড়ের বাজারে বেড়েছে বেচাকেনা।

পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, শীত তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতের কাপড় বেচাকেনা শুরু হয়েছে।

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছে পশু-পাখিরাও। হাঁস মুরগি মানুষ দেরিতে ছাড়ছে। গরু ছাগলকে পরিয়ে রাখা হয়েছে চটের তৈরি ঝুল।

এছাড়া গত এক সপ্তাহে ছোট বড় মিলে শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বীরগঞ্জ, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ বিরল, চিরিরবন্দর , খানসামা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ঘন কুয়শার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা। বাড়ছে প্রাণহানি।

এমদাদুল হক মিলন/জেএস/এমএস