জাতীয় পরিচয়পত্রে যে সব ব্যক্তির নিজের আঙ্গুলের ছাপ নেই, কিংবা অষ্পষ্ট তাদের যোগাযোগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট উপজেলায়। কারণ এখন জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন কিংবা যে কোনো ধরনের কাজ সংশ্লিষ্ট উপজেলা থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে। এখন নতুন করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে নাগরিকদের আঙুলের ছাপ দিতে হচ্ছে। আর এ কাজে দেখা দিয়েছে আরেক ভোগান্তি। কারণ অনেক এনআইডি কার্ডধারী নাগরিকেরই পরিচয়পত্রে আঙুলের ছাপ নেই। এ রকম ভোগান্তির শিকার রাজধানীর বাড্ডা এলাকার শরিফ আবদুর রোববার জাগো নিউজকে জানান, মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে গেলে দায়িত্ব পালনরত কর্মকর্তা তার পরিচয়পত্রে আঙ্গুলের ছাপ না থাকায় তা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ছাপ দিয়ে আসতে কিংবা অন্য কারো নামে আইডি কার্ড দিয়ে নিবন্ধন করতে পরামর্শ দেন। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ভোটার তালিকার তৈরির সময় আঙুলের ছাপ দিলেও লাল কালিতে লেখা রয়েছে আঙ্গুলের ছাপ নাই। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি আঙুলের ছাপ দিয়েই নিবন্ধন করেছিলাম। কিন্তু এখন সেখানে আঙুলের ছাপ নেই। তাহলে আমার আইডি কার্ড কি বাতিল? এই প্রশ্ন শুধু শরিফের একার নয়, ভোগান্তিতে পড়া দেশের লাখো নাগিরেকের মনে রয়েছে এই প্রশ্ন। এ ব্যাপারে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন জানান, মোবাইল কোম্পানি ও টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনকে (বিটিআরসি) বলা আছে নাগরিকের আঙুলের ছাপ নিয়ে কোন সমস্যা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়া নাগরিকের এনআইডিতে আঙুলের ছাপ আছে কি না সেটি মোবাইল কোম্পানিগুলো পরীক্ষা করছে ঠিকই কিন্তু অনেক সময় তাদের ডিভাইসে হয়তো কাজ করে না বা অনেকের আঙুলের ছাপ অস্পষ্ট বা নাও থাকতে পারে। তবে এটা নিয়ে নাগরিকদের বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা প্রায় দশ কোটি। এর মধ্যে প্রায় এক কোটি নাগরিক এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পায়নি। আবার অনেকের এনআইডিতে নিজের নাম, বাবা বা মায়ের নাম, জন্ম তারিখে ভুল রয়েছে। এগুলো সংশোধন করতে তাদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। এইচএস/এএইচ/পিআর