পথচারীর পকেটে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় পল্লবী থানার সাময়িক বরখাস্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাহবুবুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। অন্য দুই আসামি হলেন মো. রুবেল ও মো. সোহেল রানা।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ক্যান্টনমেন্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মো. শাহজাহান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন। ওইদিনই অভিযোগপত্রটি ‘দেখিলাম-বলিলাম’ বলে সই করে পরবর্তী বিচারের জন্য নথিটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) বরাবর পাঠিয় দেন আদালত। সিএমএম পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেবেন।
এর আগে চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর এএসআই মাহবুবুল আলমসহ তিন আসামিকে দুদিন করে রিমান্ড দিয়েছিলেন আদালত। এরপর রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, একজন সোর্সের কাছ থেকে ইয়াবার প্যাকেট নিয়ে পথচারী খলিলুর রহমানের পকেটে ঢুকিয়ে দেন এএসআই মাহবুবুল আলম। এরপর ওই পথচারীর বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মাদক মামলাও দেয় পুলিশ। পরবর্তীতে পথচারীর পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দেওয়ার ভিডিও বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচার হয়।
এরপর এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। একইসঙ্গে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এএসআই মাহবুবুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক খালিদ হাসান তন্ময়।
জেএ/জেডএইচ/জিকেএস