বছরের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ করতে কুয়াকাটায় প্রতিবারই আগমন ঘটে হাজারো পর্যটকের। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পরিবার, পরিজনের সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে সময় কাটাতে এখানে ভিড় জমান পর্যটকরা। তাই আগে থেকেই হোটেল বুকিং দিয়ে রেখেছেন অনেক পর্যটক।
এদিকে আগত পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দিতে নতুনরূপে সেজেছে সাগরকন্যাখ্যাত এই ভ্রমণ স্পটটি।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন স্পটসহ বিভিন্ন স্থান রঙিন লাইট, বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। এছাড়া নতুনকে স্বাগত জানাতে বেশিরভাগ হোটেল ধোয়া-মোছা করে পরিপাটি করে রাখা হয়েছে।
হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, থার্টি ফার্স্ট নাইট ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে এরই মধ্যে প্রথম শ্রেণির হোটেল শতভাগ বুকিং হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতে কিছু রুম খালি রয়েছে। এ উপলক্ষে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমনটা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান জাগো নিউজকে বলেন, বড়দিনের পর থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইটের বন্ধ পর্যন্ত আমাদের সব রুম বুকড রয়েছে। আমরা আলোকসজ্জা, ইনডোরে কনসার্ট, বারবিকিউ পার্টিসহ বিভিন্ন আয়োজন রেখেছি।
হোটেল সাগরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ সাগর জাগো নিউজকে বলেন, এরই মধ্যে ৬০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং পেয়েছি। আশাকরি বাকিগুলোও বুকিং হয়ে যাবে। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল না হলে আগামী কয়েক মাস আমরা প্রতিটি বন্ধে বেশ ভালো পর্যটকদের বুকিং পাবো।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জাগো নিউজকে বলেন, বছরে যতগুলো বন্ধে কুয়াকাটায় পর্যটকে টইটুম্বুর থাকে তার মধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট অন্যতম। তাই এ বন্ধকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক আয়োজন থাকে। তবে সরকারি অনেক বিধিনিষেধ থাকায় আমরা বেশিরভাগ হোটেল মালিক ইনডোরে ছোট ছোট প্রোগ্রাম করে পর্যটকদের বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করি। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য হোটেলে সাজসজ্জা, নতুনত্ব, বিশেষ ছাড়সহ বিভিন্ন আয়োজন হাতে নেওয়া হয়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জাগো নিউজকে বলেন, ডিসেম্বরজুড়ে পর্যটকদের চাপ। তাই সার্বিকভাবে আমরা তৎপর রয়েছি। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে। যাতে পর্যটকরা কোনো হয়রানির স্বীকার না হন।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/জেএস/জিকেএস