ঘন কুয়াশার কারণে পদ্মা সেতুতে সীমিত যানবাহন চলায় তৈরি হওয়া দীর্ঘ যানজট নিরসন হয়েছে দুপুরের। দুপুর ২টার পর মাওয়া প্রান্তে সেতুর অভিমুখে যানবাহনের চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বর্তমানে সাধারণ সময়ের মতো চলছে এ পথের গণপরিবহন, ব্যাক্তিগত, পণ্যবাহীসহ সব ধরনের যানবাহন। এর আগে সকাল থেকে এক্সপ্রেসওয়ের পদ্মা সেতুর অভিমুখে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলায় দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজট দেখা দিয়েছিল। টোলপ্লাজা থেকে শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর এলাকা পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল দীর্ঘ গাড়ির সারি।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের ছয়টি বুথ রয়েছে। এর মধ্যে দুটিতে কাজ হচ্ছে আর চারটি বুথ দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছিল। ঘন কুয়াশার কারণে রাত ২টা থেকে দুটি বুথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুয়াশার প্রকট কিছুটা কমলে সকাল ১০টা থেকে চারটি লেনের মাধ্যমে টোল আদায় করা শুরু হয়।
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার ব্যবস্থাপক সজল তালুকদার বলেন, ঘন কুয়াশা ও ছুটির দিনে দক্ষিণবঙ্গগামী যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। এ কারণে ভোর থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট দেখা দিয়েছিল।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন বলেন, দুপুর ২টার পর যানবাহনের সারি কমে এসেছে। মূলত রাতে ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনের নিরাপত্তার জন্য মাত্র একটি লেন দিয়ে যাবাহন চলছিল। তাই সকালে দীর্ঘ যানবাহনের সারি হয়। এখন প্রতিদিন এমন চিত্র তৈরি হচ্ছে। সকাল ১০টার পর চারটি বুথ দিয়ে যানবাহনের টোল আদায় হয়। এরপরই যানবাহনের সারি কমে আসতে শুরু করে। এখন সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/জেএস/এএসএম