গাইবান্ধা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের নিজ বাড়িতে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে হত্যার মূল পরিকল্পকারী সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খান, তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান ও ভাতিজা মেহেদীসহ সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ছয়জন কারাগারে থাকলেও ঘটনার পর থেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা পলাতক চন্দন কুমারকে গত ১১ সেপ্টেম্বরে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এদিকে রায় ঘোষণার তিন বছরেও দণ্ডপ্রাপ্তদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর না হওয়ায় ক্ষুব্ধ নিহতের স্বজনরা।
এ বিষয়ে লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদা জাহান স্মৃতি বলেন, মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। যত দ্রুত হত্যাকারীদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর হবে তাতে তার আত্মাসহ আমাদের আত্মা শান্তি পাবে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স জানান, রায় প্রত্যাখ্যান করে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন আসামি পক্ষ। আপিল শুনানির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
লিটন হত্যাকাণ্ডের পরদিন ১ জানুয়ারি পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকলি বুলবুল। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ সাবেক এমপি কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া বাসা থেকে কাদের খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে চার্জশিট ভুক্ত আসামি সুবল চন্দ্র মামলার রায় ঘোষণার আগে মারা যান।
আরএইচ/জেআইএম