সারাদেশেই কমবেশি কুয়াশা পড়ছে। কুয়াশা ভেদ করে উঁকি দিয়েছে নতুন বছরের প্রথম সূর্য। এ সূর্যালোককে স্বগত জানিয়েছেন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের হাজারো পর্যটক। এর আগেরদিন বিদায়ী বছরের শেষ সূর্যোদয় দেখেন তারা।
রোববার (১ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শীতের সকালে পরিবার, প্রিয়জনকে নিয়ে নতুন বছরের সূর্যকে উপভোগ করছেন পর্যটকরা।
তারা জানান, খুব ভোরে কুয়াশা শিশির উপেক্ষা করে সূর্যোদয় দেখতে আসেন তারা। পরে সূর্যোদয় দেখে মিশ্রী পাড়া বৌদ্ধ বিহার, ঝাউবন, গঙ্গামতির সৈকতসহ বেশ কয়েকটি স্পট ঘোরাঘুরি শেষে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট এলাকায় ফিরে আসেন।
ঢাকা থেকে আগত রবিউল হুসাইন নামের এক পর্যটক বলেন, কুয়াকাটায় ২২ সালে আসলাম ২৩ সালে চলে যাবো। গতকাল সূর্যাস্ত দেখলাম আজকে খুব ভোরে উঠে সূর্যোদয় দেখলাম। বাচ্চা ও পরিবার নিয়ে বেশ আনন্দ করছি।
ভোলা থেকে আসা রাইছা নামের এক পর্যটক বলেন, যেসব পর্যটকরা দেশের বাইরে ভ্রমণ করেন তাদের উচিত সবার আগে দেশের ভেতরে থাকা সুন্দর জায়গাগুলোতে বেড়াতে আসা। এত সুন্দর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত কী অপরূপ দৃশ্য। আমার কুয়াকাটা আসা সার্থক।
ট্যুর গাইড জুয়েল রানা বলেন, কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের আমরা দুভাগে বিভক্ত করে ভ্রমণ করাই। সকাল বেলা সূর্যোদয় সহ পূর্বদিকের প্রায় আটটি স্পট এবং পশ্চিম দিকে বিকেলে ঘুরিয়ে থাকি। আজ বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে অনেক পর্যটক আসছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের টিম প্রতিটি পয়েন্টে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকে। তবে খুব সকালে সূর্যোদয় পয়েন্টে পর্যটক বেশি থাকায় বাড়তি নিরাপত্তা দেই। এখন পর্যন্ত থার্টি ফার্স্ট নাইটে কোনো প্রকার অপ্রতিকার ঘটনা ঘটেনি।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসজে/এমএস