চোখে আলো নেই। তাতে কি হয়েছে। মনে তো আছে। অন্তঃআলোর ঝলকানিতে চোখের আলো তো নিমিশেই ঝাপসা হয়ে যায়। অন্তরে আলো না থাকলে তো জগত-ই অন্ধকার।ওরা এসেছেন মনের আলো জ্বালিয়েই। সে আলোতেই নতুন বইয়ের স্বাদ পেয়ে যেন দিশাহারা। ‘অন্ধ জনে দেহ আলো’- দেহমনে অমন আলোতে ভর করেই ওরা পুরো মেলা চষে বেড়াচ্ছেন। স্টলে স্টলে যাচ্ছেন, নতুন বইয়ে হাত রেখে পৃষ্ঠা উল্টাচ্ছেন। আবার কেউ নতুন বইয়ের গন্ধ শুকছেন।সোমবার অমর একুশে বইমেলায় ঘুরতে এসেছেন মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টগেটেড স্কুলের প্রতিবন্ধী ছাত্রীরা। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ১৮ জন ছাত্রীকে সঙ্গ দিচ্ছেন ওই স্কুলের পাঁচ শিক্ষিকা।শিক্ষাকা রাবেয়া বসরী বলেন, ‘ওরা চোখে দেখতে পান না। কিন্তু বইমেলার কথা জেনে ব্যাপক উৎসাহবোধ করেন। এ কারণেই ওদের মেলায় নিয়ে আসা। নানা জনের কথা ও শব্দ শুনেই মেলার স্বাদ উপভোগ করছেন তারা।’তিনি বলেন, ‘ওরা নতুন নতুন বইয়ে হাত রেখে অনুধাবন করতে পারছে মেলার আনন্দ। এতেই ওদের অন্তরের আলো আরো আলোকিত হবে বলে মনে করি।’সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুবর্ণা আখতার মেলা ঘুরে অনেক মজা পেয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘আগে কখনও এভাবে মেলায় আসিনি। চোখে না দেখলেও বুঝতে পারছি, অনেক মানুষ এসেছে মেলায়, অনেকেই নতুন নতুন বই কিনছে, বেশ মজাও হচ্ছে।এএসএস/এমএইচ/একে/আরআইপি