দেশজুড়ে

সুবর্ণখালি দখলমুক্ত করতে প্রশাসনকে নদী কমিশনের নির্দেশ

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে প্রবাহমান দখল-দূষণে বিপন্ন সুবর্ণখালি নদী নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। একমাসের মধ্যে সুবর্ণখালি নদী দখলমুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন।

গত ২১ অক্টোবর জাগোনিউজ২৪.কমে ‘দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে সুবর্ণখালি নদী’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

সংবাদে বলা হয়, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে স্থানীয় প্রভাবশালীরা নদীর বুকে পিলার বসিয়ে বিভিন্ন পাকা স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। জলাধার সংরক্ষণ আইন থাকলেও কেউ এর তোয়াক্কাই করছেন না। পৌরসভা সংলগ্ন নদীর পাড় দখল করে একের পর এক গড়ে তোলা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। এমনকী স্থানীয় ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা ফেলেও দূষিত করা হচ্ছে নদীর পানি।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উপ-পরিচালক ড. খ ম কবিরুল ইসলাম গত ১৯ ডিসেম্বর এক আদেশে একমাসের মধ্যে সুবর্ণখালি নদী রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জামালপুর জেলা প্রশাসনকে পত্র দেন।

পত্রে সরেজমিনে পরিদর্শন ও তদন্তপূর্বক সুবর্ণখালি নদীর সীমানা সিএস রেকর্ড মোতাবেক নির্ধারণ করে সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে খননসহ নদীর পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

জাতীয় নদী কমিশনের এই পত্র প্রাপ্তির পর বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর স্নিগ্ধা দাস সরিষাবাড়ী নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অবগত করেন।

জামালপুর জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় জাগো নিউজকে মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন।

এ বিষয়ে সোমবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, পত্র প্রেরণের বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

যদি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে নদী কমিশনকে অবগত করার পরামর্শ দেন তিনি।

মো. নাসিম উদ্দিন/এমআরআর/জিকেএস