দেশজুড়ে

সাতক্ষীরায় অ্যাম্বুলেন্সচালকদের ধর্মঘট, দুর্ভোগে রোগী-স্বজনরা

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্দিষ্টস্থানে পার্কিংয়ের দাবিতে ধর্মঘট পালন করছে অ্যাম্বুলেন্সচালকরা। এতে হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী পরিবহন করতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনরা।

বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও চালকরা সম্মিলিতভাবে সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে এ ধর্মঘটের কর্মসূচির ডাক দেয়। তারা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সামনে রাস্তার উপর লাইন দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স রেখে এই কর্মসূচি পালন শুরু করে। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সিভিল সার্জনের সঙ্গে বসে আলাপ করে সমস্যার সমাধান না হলে ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন অ্যাম্বুলেন্সচালকরা।

অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও চালকদের অভিযোগ তারা দীর্ঘদিন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের পরিত্যক্তস্থানে বছরের পর বছর অ্যাম্বুলেন্স গাড়ি রেখে রোগী আনা নেওয়া করতো। সম্প্রতি হাসপাতালের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স রাখলে মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল আলম ট্রাফিক পুলিশ ডেকে মামলা ও জরিমানা করতে শুরু করেন। এতে মামলার টাকা গুনতে গুনতে অ্যাম্বুলেন্স চালক ও মালিকরা অতিষ্ট হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও চালক ইন্দ্রিস আলী জাগো নিউজকে বলেন, বাইরে থেকে রোগী নিয়ে হাসপাতালে ঢুকলেই সার্জেন্ট দিয়ে মামলা দিচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়ানোর পর রোগী নামাতে কম পক্ষে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু সদর হাসপাতালে গেটের মধ্যে ঢুকলেই মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল আলম ট্রাফিক পুলিশ ডেকে মামলা ও তিন থেকে চার হাজার টাকা জরিমানা করছে। ফলে আমরা চরম ক্ষতির মুখে পড়ছি। এর সমস্যার সমাধান করে অ্যাম্বুলেন্স নিরাপদ জায়গায় রাখার ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত আমরা হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকে আর কোনো রোগী পরিবহন করবো না। আমরা ধর্মঘট চালিয়ে যাব। এতে কোনো রোগীর মৃত্যু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ভার নিতে হবে।

এ বিষয়ে জানার জন্য মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. সবিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্সচালকদের ধর্মঘটের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি নিয়ে আজ তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করলে সমস্যার সমাধান।

আহসানুর রহমান রাজীব/জেএস/জিকেএস