বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে ১৬ নয় ১৮ বছরই জয়যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বুধবার উইমেন জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বের প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেছেন, আমি মনে করি ১৮ বছর পর্যন্ত একজন শিশু। গণমাধ্যমের প্রচারসহ ব্যাপক আলোচনার ফলে বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে ১৬ নয় ১৮ বছরই জয়যুক্ত হয়েছে। তবে সমাজের কিছু জটিল সমস্যা সমাধানে আইনে ক্লজ (ধারা) যুক্ত হতে পারে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সের বিষয়টি সঠিকভাবে চিন্তাভাবনা করবেন।এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমি কাঠগড়ায় বসে আছি। সবাই প্রশ্ন করছেন। তবে সত্য কথা, বাল্যবিয়ে বন্ধ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সরকার যেভাবে কর্মসূচি পরিচালনা করছে, তাতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।মন্ত্রিসভায় বয়স কমানোর বিষয়টি উত্থাপন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মন্ত্রণালয় থেকে যে খসড়া মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয় তাতে মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ১৮ এবং ছেলেদের ২১ বছরই ছিল। ক্যাবিনেট শক্তিশালী জায়গা। সেখানে উচ্চপর্যায়ের মন্ত্রীরা থাকেন। বিভিন্ন দিক নিয়ে কম–বেশি সবাই আলোচনা করেন। একপাশ বেশি হয়ে গেলে তখন আর অন্য পাশের কিছু করার থাকে না। আর এখন আমার যে ভূমিকা রাখার কথা, যেটা সঠিক মনে করছি, তা করার চেষ্টা করছি।বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স প্রমাণে নোটারি পাবলিকের দেওয়া সনদ বাতিল করা, শাস্তির পরিমাণ বাড়ানোসহ আইনের অন্যান্য দিক তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার ক্রিস্টিয়ান টার্ডিফ। অতিথি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোরের কাগজ এর সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল ইউএনএফপিএর বাংলাদেশ প্রতিনিধি আর্জেন্টিনা মাতাভেল পিক্কিন, ইউএন উইমেনের আবাসিক প্রতিনিধি ক্রিস্টাইন হান্টার, ইউনিসেফের উপপ্রতিনিধি লুইস মভোনো এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।