ম্যাককালামকে বিদায়ী টেস্টে জয় উপহার দেয়ার ইচ্ছা ছিল নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারদের; কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দাপটে জয় তো দুরে থাক, টেস্টটা ড্রও করতে পারছে না সম্ভবত ব্ল্যাক ক্যাপসরা। বরং, ক্রাস্টচার্চে অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে পরাজয়ই উপহার পেতে যাচ্ছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ৩৩৫ রানে অলআউট করে দিয়ে জয়ের জন্য ২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান তুলে ফেলেছে অসিরা। ২২ রানে ওয়ার্নার আউট হয়ে গেলেও ২৭ রানে জো বার্নস এবং ১৯ রানে ক্রিজে রয়েছেন উসমান খাজা। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আর মাত্র ১৩১ রান। হাতে আছে পুরো একদিন এবং ৯ উইকেট।অভিষেকের পর থেকে টানা টেস্ট খেলে গেছেন। কোন বিরতি দেননি। বিরতিহীন চলতে চলতে অবশেষে এসে থামছে ম্যাককালাম ‘ট্রেন’। ১০১ তম টেস্ট খেলেই তবে যবনিকাপাত ঘটাচ্ছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সিরিজই তার ক্যারিয়ারের শেষ। বিদায়ী টেস্টে জিততে না পারুক, ম্যাককালাম কিন্তু নিজেকে স্মরনীয় করে দিয়ে গেলেন ক্রিকেট ইতিহাসে। টেস্টের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরিটা করে ফেললেন তিনি। ৫৪ বলে ইতিহাস গড়ার পর প্রথম ইনিংসে ম্যাককালাম থেমেছিলেন ১৪৫ রানে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন ২৫ রান। সব মিলিয়ে ১৭০ রান করে আবারও রেকর্ডবুকে নিজের নামটা লিখে ফেললেন তিনি। বিদায়ী টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ফেললেন ম্যাককালাম।ব্যাক্তিগত ইতিহাসে না হয় টেস্টটা স্মরনীয় হয়ে থাকলো ম্যাককালামের জন্য; কিন্তু দলগতভাবে নিউজিল্যান্ড হতে চলেছে হোয়াইটওয়াশ। ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানে হারের পর ক্রাইস্টচার্চেও হারতে বসেছে কিউইরা। পঞ্চম দিন মাঠে নামার পর অস্ট্রেলিয়াকে কতদুর বেধে রাখতে পারে কিউই বোলাররা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাককালাম ২৫ রানে আউট হয়ে গেলেও কেনে উইলিয়ামসন ৯৭, ম্যাট হেনরি করেন ৬৬ রান। মূলতঃ এ দু’জনের ব্যাটে ভর করেই ৩০০ প্লাস রান করতে পারে নিউজিল্যান্ড। এছাড়া কোরি এন্ডারসন ৪০, বিজে ওয়াটলিং ৪৬ রান করে নিউজিল্যান্ডকে ৩৩৫ রানে পৌঁছে দেন।জ্যাকসন বার্ড আর জেমস প্যাটিনসন মিলেই শেষ করে দেন নিউজিল্যান্ডকে। বার্ড একাই নেন ৫৯ রানে ৫ উইকেট। প্যাটিনসন নেন ৪ উইকেট। বাকিটা নেন জস হ্যাজলউড।আইএইচএস/এবিএস