বান্দরবানে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৯ জানুয়ারি) অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ সমস্যা নিয়ে ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক আমতলি পাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
ধর্ষণের শিকার নারী অভিযোগ করেন, বান্দরবান সদর উপজেলার যৌথ খামার এলাকায় বাগানের পাশাপাশি একটি টং দোকান করেন তিনি। সেই সুবাদে ওই এলাকায় বাস করেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে নানাভাবে তাকে উত্ত্যাক্ত করে আসছিলেন যৌথ খামার এলাকার ত্রিহুইলার চালক জাহাঙ্গীর।
৫ জানুয়ারি নিজের ত্রিহুইলার গাড়িতে করে পার্শ্ববর্তী বন প্রপাত এলাকার মসজিদের পাশে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন জাহাঙ্গীর। বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজনকে জানালে পুলিশের সহায়তা নিতে পরামর্শ দেন।
এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি বান্দরবান সদর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। ঘটনার পর থেকে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হতে থাকায় বাধ্য হয়ে সোমবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী নারী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যৌথ খামার এলাকার এক দোকানি জানান, ভুক্তভোগী বিষয়টি জানালে তাকে থানায় যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার মঞ্জুরুল আলম জানান, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে এক নারী থানায় গেলে তাকে হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি হাসপাতালে এলে তাকে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার কয়েকজন ডাক্তারের সমন্বয়ে বোর্ড বসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
তবে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম জানান, যৌথ খামার এলাকা থেকে এখনো পর্যন্ত কেউ ধর্ষণের অভিযোগ করেনি। তবে এখনই হাসপাতালে পুলিশ যাচ্ছে। প্রয়োজনে ওয়ানস্টপ সেবার আওতায় পুলিশ নিজ উদ্যোগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নয়ন চক্রবর্তী/এফএ/এমএস