স্বাস্থ্য

সচেতনতাই পারে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে

থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তস্বল্পতাজনিত বংশগত রোগ। বাবা-মা উভয়ই এই রোগের বাহক হলে সন্তানরা এই রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে। এই রোগের ফলে রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ক্রুটি হয়।বাবা-মা উভয়েরই থ্যালাসেমিয়ার জিনবহন করে থাকলে ভূমিষ্ঠ শিশুর ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশ্বে প্রতিবছর এক লাখ শিশু এ রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশে প্রায় ২০ হাজার শিশু এ রোগে আক্রান্ত এবং প্রতি বছর ৬ হাজার শিশু এ রোগে নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে।এই বংশগত রোগটি প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হলো সচেতনতা। বিবাহপূর্বে “থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয়” রক্ত পরীক্ষা করে নেয়াটা সবচেয়ে ভালো উপায়। স্বামী কিংবা স্ত্রী কিংবা তাদের পরিবারে সদস্যদের কারো থ্যালাসেমিয়া রোগের ইতিহাস থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরি।“থ্যালাসেমিয়ায়া মুক্ত বাংলাদেশ চাই” এই মূলমন্ত্রকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ২০১৫ সাল থেকে একযোগে কাজ করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায় এই বছর বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে “থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা প্রকল্পের” আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এবং ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতায় ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে “ থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও বাহক নির্ণয় কর্মসূচি ২০১৬” শুরু হয়েছে।এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী মধ্যে ‘থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও বাহক নির্ণয় কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সাসটেইনেবল ফিন্যান্স ডিপাটমেন্ট’ এর উপ-পরিচালক তানিয়া রোকসানা ও সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার।এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রাহমান এবং বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির সিওও এ কে এম ইকরামুল হোসেন।অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল সানজিদা জামান লিজা। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভলিন্টিয়ার সার্ভিস ক্লাব এ কর্মসুচিকে সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদান করছে।এএ/বিএ