রাস্তা থাকার পরও চলাচলের সুবিধার্থে ফসলি জমির মাঝ দিয়ে আড়াআড়িভাবে রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় ঝিনাইদহের মহাম্মদপুর গ্রামবাসী। কিন্তু বাঁধ সাধে ফসলি জমির মালিকরা। তারপরও থেমে থাকেনি তাদের প্রচেষ্টা। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফুট লম্বা এবং ১২ ফুট চওড়া ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। তবে দুই পাশে রাস্তার সংযোগ না থাকায় ব্রিজটি মানুষের কোন উপকারেই আসেনি।সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চড়িয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি বিল। এই বিলকে চড়িয়ার বিল বলেই জানে সবাই। দীর্ঘ প্রায় ২৫/২৬ বছর আগে মহম্মদপুর গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামবাসী বিলের মাঝ দিয়ে চড়াই গ্রামের সঙ্গে সহজে যোগযোগের জন্য রাস্তা তৈরির সিন্ধান্ত নেয়। ফসলি জমি নষ্ট করে বিলের মাঝ দিয়ে রাস্তা তৈরিতে বাঁধ সাধে জমির মালিকরা। শুরু হয় তাদের বিরোধ। এক পর্যায়ে তারা রাস্তা বাদে বিলের মাঝে ব্রিজ তৈরি করে পরে জমির মালিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে রাস্তা তৈরির কৌশল আঁটে। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিডির অর্থে ব্রিজ তৈরি করতে সক্ষম হয়। তবে ব্র্রিজটির দুই পাশে রাস্তার সংযোগ না থাকায় ব্রিজটি মানুষের কোনো উপকারেই আসেনি এ পর্যন্ত।স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম, আব্দুল খালেক জানান, মহাম্মদপুর গ্রামসহ কয়েটি গ্রামের লোকজনের যোগাযোগের জন্য রাস্তা রয়েছে। কিন্তু দেড়/ দুই কিলোমিটার ঘুরে চলতে হয়। সহজে যোগাযোগের জন্য মহাম্মদপুর গ্রামবাসীসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন চড়িয়া গ্রামের রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেয়। জমির মালিকগণ তখন বাঁধা দেয়। তারা বিলের মাঝ দিয়ে রাস্তা তৈরি করতে পারেনি। পরে সরকারিভাবে ব্রিজ তৈরি করে রাস্তা তৈরির জন্যও চেষ্ঠা করেও তারা পারেনি। যে কারণে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ব্রিজ মানুষের কোন কাজেই আসেনি। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের এলজিইডি প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান শেখ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিবেন।এসএস/পিআর