হঠাৎ দমকা ঝড়ে ধসে পড়েছে সুপ্রিম কোর্টের সীমানা প্রাচীর। বুধবার দুপুরের এ ঝড়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের গেট থেকে সুপ্রিম কোর্টের মূলগেট পর্যন্ত সীমানা প্রাচীর ভেঙে যায়। এ সময় সেখানে কেউ আহত হয়নি বলে জানা গেছে। উচ্চ আদালতের সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ার পরে সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ধসে পড়া প্রাচীরের দুই পাশে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। সীমানা প্রাচীরের উপর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ফুট লম্বা একটি মেহগনি গাছ উপড়ে পড়েছে। গাছের সঙ্গে সীমানা প্রাচীরও ধসে পড়ে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ বলেন, সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ার পরে আমরা তাৎক্ষণিক ইটের দেয়াল দিতে পারবো না। আপাতত টিনের বেড়া সীমানা দেয়াল তোলা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে সীমানা প্রাচীর (ইটের দেয়াল) তৈরি করা হবে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীতে হঠাৎ করেই ঝড়ো হাওয়াসহ শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। ফাল্গুনে এই হঠাৎ বৃষ্টিতে বিপাকে পড়ে রাজধানীর পথচারীরা। বৃষ্টির পাশাপাশি বয়ে যায় দমকা হাওয়া। দমকা হাওয়াতে সুপ্রিম কোর্টের গাছের পাতাও ঝড়ে পড়ে।রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ইস্কাটন, বাংলামোটর, ফার্মগেট, বাড্ডা, রামপুরা, মিরপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় শিলা বৃষ্টি হয়। সুপ্রিম কোর্টের শিলা বৃষ্টির সময় আদালত থেকে আইনজীবী ও কর্মচারীরা বের হয়ে বৃষ্টি উপভোগ করেন। কেউ কেউ হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির ছোঁয়া নেন।আবার কেউ কেউ বরফের স্তুপের মতো জমে থাকা শিলার স্তুপ থেকে নিয়ে নিজের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে চেপে ধরে রখেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের বারান্দা ও বাগানে শিলাস্তুপ জমে যায়।জানা গেছে, বুধবার শিলাবৃষ্টিতে রাজধানীতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ জনই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে থাকা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এর নেতা-কর্মী। আহতদের কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, রেজাউল করিম, সাইফুল হক জুয়েল, প্রদীপ, সুমন মণ্ডল, সানজিদা, আকলিমা ও শিমুল খান। শহীদ মিনারে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪ জন।এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি