দেশজুড়ে

পিঠা উৎসবে উচ্ছ্বসিত বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা

মাঘের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে শিশুরা স্কুলের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে আসে পাঠদান শিখতে। কিন্তু মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সে চিত্র ছিল ভিন্ন। আজ শিক্ষার্থীদের কাঁধে ছিল না কোনো স্কুলব্যাগ। সবাই নানান সাজে অভিভাবকসহ বিদ্যালয়ে এসেছে পিঠা উৎসব করতে।

পৌষের বিদায় আর মাঘের শুরুতে আবহমান বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয় পশ্চিম জয়পুরহাট শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান, আন্দশা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, গোকুল পিঠা, ইলিশ পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, ঝুড়ি পিঠাসহ আরও কত নাম! সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম জয়পুরহাট শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠ প্রাঙ্গণে পিঠাপুলির উৎসবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীদের নিয়ে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। উৎসব সফল করতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশেদ, প্রধান শিক্ষক বেগম নেহার-ই জান্নাত, সহকারী প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণা রানী কুন্ডু প্রমুখ।

শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেগম নেহার-ই জান্নাত বলেন, পৌষ-পার্বণে পিঠা উৎসব হলেও শীতেও এ উৎসবের আমেজ শেষ হয়ে যায় না। শিক্ষার্থীদের পাঠাদানের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা করতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বাঙালি হাজার বছরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী। আর শীতের সময় পিঠাপুলির স্বাদ সব থেকে ভালো পাওয়া যায় গ্রামে। কিন্তু শহরে একটু হলেও ভিন্নতা রয়েছে। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা নতুন পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পারছে। বিদ্যালয়ের উদ্যোগে চমৎকার আয়োজন দেখে ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে আমাদের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন আয়োজন আরও বাড়ানো হবে।

রাশেদুজ্জামান/এফএ/এমএস