খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় বোনের সঙ্গে বিচ্ছেদের খবরে দুলাভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্যালকের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারী) মধ্যরাতে রামগড় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্মশানটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শ্যালক সাগর ত্রিপুরা (২৫) ও তার এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নারীকে পাঁচ টুকরো করে হত্যা, ছেলেসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
নিহত দীপক ঘোষ মুন্না (৩৮) ওই এলাকার রাখাল ঘোষের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, সোমবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় সাগর ত্রিপুরা ও তার কয়েকজন বন্ধু দুলাভাই দীপক ঘোষ মুন্নাকে মারার জন্য তার বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। দীপক ঘোষ বাড়ির সামনে এলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ী হত্যায় ভায়রা কারাগারে
স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দীপককে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকালে তাকে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দীপক ঘোষের বাবা রাখাল ঘোষ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ছেলে ও পুত্রবধূ কনিকা আলাদা থাকছে। সে গার্মেন্টসে চাকরির সুবাধে চট্টগ্রাম থাকে। কয়েকবার চেষ্টা করেও কনিকাকে বাড়িতে আনা যায়নি । এ নিয়ে সামাজিক পর্যায়ে সালিশ বৈঠকে দুজনের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। এ খবরে শ্যালক সাগর ত্রিপুরার সঙ্গে মুন্নার বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে ক্ষুব্ধ হয়ে সাগর আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: ৩০ বছরের সাজা এড়াতে পালিয়ে ছিলেন ২১ বছর
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ হত্যাকাণ্ডে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এসজে/এএসএম