ফিচার

আজকের দিনটি স্বামী-স্ত্রীর

ফেব্রুয়ারি মাস আসতেই শুরু হয়ে যায় নানান দিন। বিশেষ করে কাপলদের জন্য ভালোবাসা দিবসের পাশাপাশি থাকে চকলেট ডে, হাগ ডে, রোজ ডে, কিস ডে আরও কত কি দিন। তবে অনেকে মনে করেন ভালোবাসা দিবস প্রেমিক-প্রেমিকার। কিংবা সম্পর্ক অনেক দিন তো হলো! এই অজুহাতে এড়িয়ে যান তারা আজকের দিনটিতে নিজের সময় দিতে পারেন। আজকের দিনটি স্বামী-স্ত্রীর।

Advertisement

বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে বিবাহবার্ষিকী ছাড়া বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে বিয়ে নিয়ে কারও আর তেমন উচ্ছ্বাস দেখা যায় না। হয়তো বড়জোর ভালোবাসা দিবসে দুজন দুজনকে ফুল কিংবা উপহার দিয়ে উদযাপন করেন দিনটিকে। জানেন কি দম্পতিদের জন্য বছরের ২৬ জানুয়ারি দিনটি নির্ধারিত রয়েছে। এই দিনটিতে তারা সব কর্মব্যস্ততাকে দূরে রেখে নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারবেন। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে দিনটি থাকে ছুটির দিন।

তবে এই দিবসের সূচনা হয় সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানানোর মধ্য দিয়ে। দিনটি বিবাহিত দম্পতিদের একসঙ্গে সময় কাটাতে এবং পরস্পরের গুণগান করতে উৎসাহিত করে। ভ্যালেন্টাইনের বিপরীতমুখী এ দিবসটি উপহার নয় বরং সময় দেওয়াকে প্রাধান্য দেয় বেশি।

২০০০ সালে এই দিবসটি পালন শুরু হয়। ১৯৮৪ সালে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান সামরিক সঙ্গী দিবসের উদ্ভাবন করেছিলেন। যারা সামরিক বাহিনীতে চাকরি করেন। পরিবার থেকে দিনের পর দিন দূরে থাকেন। তাদের জন্যই মূলত দিবসটির উদ্ভাবন করা হয়। তবে পরবর্তীতে তা সব পেশার মানুষের জন্যই করা হয়।

Advertisement

স্পাউস ডে ছাড়াও রয়েছে স্ত্রী এবং স্বামীদের জন্য আলাদা আলাদা দিবস। প্রতিবছর ২৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিনটি স্বামী-স্ত্রী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। অনেক দম্পতিই দিনটিকে তাদের বিবাহবার্ষিকীর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। কেননা এই দিনে দু’জনই কাছাকাছি থাকতে পারছেন।

তবে ২৬ জানুয়ারি দিনটি একেক দশকে পালিত হয়েছে একেক দিবস হিসেবে। যেমন-১৮৫০ এর দশকে এই দিনে বলা হত ‘ইট মাস্ট হ্যাভ বিন লাভ’। কারণ তখন দম্পতিরা আশ্রয়, সুরক্ষা এবং খাবারের জন্যই মূলত বিয়ে করতো। ১৯৮০ এর দশকে বলা হত ‘ভিশন অব লাভ’ বা প্রেমের দর্শন। মূলত এই সময়েই জাতীয় স্বামী-স্ত্রী দিবসের সূত্রপাত। তবে দিনটি প্রমিক-প্রেমিকা, বাগদত্ত-বাগদত্তা এবং নববিবাহিতরাও পালন করতে পারবেন।

১৯৯৪ সালের বলা হত ‘উই ফাউন্ড লাভ’ বা আমরা ভালোবাসার খোঁজ পেয়েছি। ওই বছরেই জাপানে ‘ভালো স্বামী-স্ত্রী দিবস’ পালন শুরু হয়। ২০২০ সালে এসে বলা হয় ‘মাই হার্ট উইল গো অন’ অর্থাৎ আমার হৃদয় তোমার জন্য রইবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেও দম্পতিরা একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায়।

চাইলে সব কর্মব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে কাটাতে পারেন। ঢাকার আশেপাশে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন সারাদিনের জন্য। এতটুকু সময় না হলে অন্তত দুপুরে প্রিয় কোনো রেস্তোরাঁয় গিয়ে খেতে পারেন। কিংবা যেতে পারেন ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে। ফুল কিংবা পছন্দের কোনো উপহার দিতে পারেন একে অপরকে। মূল কথা আজকের দিনটি বরাদ্দ করুন সবামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য।

Advertisement

সূত্র: ন্যাশনালটুডে

কেএসকে/এএসএম