লালমনিরহাটের মাহফুজার রহমান প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরি না পাওয়ায় শিক্ষা জীবনের অর্জিত সকল সনদ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ফেরৎ দেয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা লালমনিরহাট জেলা ও প্রশাসনে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও মাহফুজারের প্রতিবাদে হৈ চৈ উঠেছে। ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্যে দেখা যায়, প্রতিবন্ধী হওয়ার পরেও শত প্রতিকূলতার মধ্যে এমএ পাশ করা এই যুবকের সাহসিকতাকে স্যালুট জানিছেন অনেকেই।এদিকে জাগো নিউজসহ জাতীয় পত্রিকাগুলোতে ফলাও করে সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর সনদগুলো ফেরৎ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মাহফুজার রহমান। প্রতিবন্ধী মাহফুজার রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩ জন ব্যক্তি তার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ করতে যান। সেই সময় তিনি বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আসা ওই তিন ব্যক্তি। তারা তার স্ত্রীকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আসার কথা জানান। এরপর তাকে না পেয়ে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে ফোন করে সনদগুলো ফেরৎ নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয় তাকে। এ সময় তিনি সনদগুলো প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করেছেন এমন কথা বললে এবং তা ফেরৎ নেয়ার অসম্মতি জানালে তারা সেখান হতে চলে যান। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাফফুজারের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সনদগুলো ফেরৎ দেয়ার চেষ্টা করার সময় কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা গিয়েছিল তা জানা না গেলেও মাহফুজারের মোবাইল ফোনে যে নম্বরটি থেকে ফোন করা হয়েছিল তা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মরত আব্দুর রহমান নামে একজনের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরি না পেয়ে গত বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এসএসসি থেকে এমএ পাশের ৪টি মূল সনদ প্রধানমন্ত্রী বরাবর ফেরৎ দেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মাহফুজার রহমান। এ সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল ইসলাম সরকার সনদগুলো আবেদনসহ গ্রহণ করেছিলেন।রবিউল হাসান/এমএএস/আরআইপি