আইন-আদালত

হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমে স্বামীর যাবজ্জীবন

হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমে স্বামীর যাবজ্জীবন

বরগুনায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে মৃত্যুদণ্ড হয় স্বামী আবদুল জলিলের। তবে সাজা পরিবর্তন করে জলিলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এবং আসামির আপিল খারিজ করে রোববার (২৯ জানুয়ারি) এই রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ।

আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম মাসুদ রানা, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাফিউল মাজিদ ও উম্মে ছালমা।

আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন অর্থ আমৃত্যু কারাদণ্ড

Advertisement

আইনজীবী এম মাসুদ রানা বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। এছাড়া সাক্ষীদের বক্তব্য পরস্পর বিরোধী ছিল। শুনানিতে এসব বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। রায়ে উচ্চ আদালত দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের দণ্ড দিয়েছেন।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আবদুল জলিল জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বাইনচটকি গ্রামের নয়া মিয়ার ছেলে।

১৯৯৮ সালে ফরিদপুরের মালতি বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় আবদুল জলিলের। পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০০৩ সালের ২৮ আগস্ট মালতিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ বস্তায় ভরে বাড়ির পেছনে পোড়াবাড়ির বাগানে পুঁতে রাখা হয়। পরদিন মালতির মরদেহ শেয়াল-কুকুরকে খেতে দেখে প্রতিবেশীরা কাকচিড়া পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। এরপর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় কাকচিড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. একরামুল বাদী হয়ে নিহত মালতির স্বামী, দুই দেবর, ননদ ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৪ সালের ৮ এপ্রিল সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৯ মে ছয়জনকে খালাস দিয়ে জলিলকে মৃত্যুদণ্ড দেন বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু তাহের।

এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিল করেন।

এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম